পাকিস্তানি চরমপন্থি গ্রুপ জামাত-উদ-দাওয়া এবং জেইশ-ই-মোহাম্মদ গত কোরবানির ঈদের পর দান হিসেবে পাওয়া পশুর চামড়া বিক্রি করে ৭৮০ মিলিয়নের বেশি পাকিস্তানি রুপি আয় করেছে। এ ধরনের নিষিদ্ধ সংগঠনের এভাবে কোরবানির চামড়া সংগ্রহের ওপর পাকিস্তান সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও এ ঘটনা ঘটেছে।
পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার উদ্ধৃতি দিয়ে সম্প্রতি পাকিস্তানি মিডিয়ায় প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, এবার চামড়া বিক্রি করে ওই দু’টি জঙ্গী সংগঠন মোট ৭৮ কোটি ২১ লাখ ৫০০ রুপি আয় করেছে।
গোয়েন্দা প্রতিবেদন আরো জানায়, সরকারের যেসব কর্মকর্তা চামড়া সংগ্রহে বাধা দিতে চেষ্টা করে তাদেরকে ভয়-ভীতি দেখায় নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থি সংগঠনগুলো। জামাত-উদ-দাওয়া ও এর সহযোগী সংগঠন ফালাহ-ই-ইনসানিয়াত ফাউন্ডেশন এবারের ঈদ-উল-আযহায় পাঞ্জাব থেকে ৯২ হাজার ৮০০ পশুর চামড়া সংগ্রহ করে। অপর দিকে জেইশ-ই-মোহাম্মদ ও এর সহযোগী সংগঠন আল-রেহমাত ট্রাস্টও একই প্রদেশ থেকে হাজার হাজার চামড়া সংগ্রহ করে।
চামড়া সংগ্রহকারী অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনগুলোর মধ্যে রয়েছে সিপাহ-ই-সাহাবা পাকিস্তান, তেহরিক-ই-জাফারিয়া পাকিস্তান, শিয়া উলেমা কাউন্সিল, সুন্নী তেহরিক, হরকাত-উল-মুজাহিদীন ও আল-বদর মুজাহিদীন। পাকিস্তানের পাঞ্জাব সরকার চামড়া সংগ্রহের কাজে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনগুলোকে বিরত রাখতে পুলিশ ও সিভিল প্রশাসনের ব্যর্থতায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।
পুলিশ ও সিভিল প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, জঙ্গিরা যেন জনগণের কাছে কোরবানির চামড়া চেয়ে ব্যনার না টাঙ্গাতে পারে কিংবা চামড়া সংগ্রহে ক্যাম্প বসাতে না পারে। কিন্তু কার্যত দেখা যাচ্ছে পুলিশ ও সিভিল প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে। এ ঘটনা অবশ্য ইঙ্গিত দেয় যে, পাকিস্তানে সাধারণ্যে এবং পুলিশ ও প্রশাসনে জঙ্গি সমর্থন খুব একটা দুর্বল নয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ব্যর্থতার কারণ দর্শাতে বলেছে ও পুলিশ ও প্রশাসনকে।