রুপসীবাংলা, ঢাকা (১০ ডিসেম্বর) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ যুদ্ধজাহাজ রফতানি করবে। জাতিসংঘ সমুদ্র আইন কনভেনশন স্বাক্ষরের ৩০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ নির্মাণ করেছে। বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান জাহাজ নির্মাণ করছে। এবং সে জাহাজগুলো বিদেশে রফতানি হচ্ছে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ যুদ্ধজাহাজও রফতানি করবে।
আন্তর্জাতিক মানের নাবিক তৈরিতে দেশে মেরিন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে জানান তিনি।
২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে জয়ী করার জন্য জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে যদি জনগণ আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় না আনতো, তাহলে সমুদ্রে মহীসোপানের দাবি আদায়ে বাংলাদেশ ব্যর্থ হতো।
তিনি বলেন, ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সরকার আনক্লজে (UNCLOS) বাংলাদেশের অনুসমর্থন দিয়েছিল। আনক্লজ অনুসমর্থনের পর দশ বছরের মধ্যে, অর্থাৎ ২০১১ সালের জুলাই মাসের মধ্যে জাতিসংঘের কাছে মহীসোপানের দাবি জমা দেওয়ার কথা।
কিন্তু ২০০৮ সাল পর্যন্ত তা হয়নি। শেষ পর্যন্ত ২০১১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘে মহীসোপানের দাবি পেশ করা হয়েছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসেছে বলেই এটি সম্ভব হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে জানান, আগামী পহেলা জানুয়ারিতে মাধ্যমিক পর্যন্ত ২৭ কোটি বই বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে।
এ সময় তিনি আরও বলেন, এমডিজির বিভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
তিনি বলেন, আমরা জনগণের শাসক নই, সেবক হিসেবে কাজ করছি।
আলোচনাসভায় আরও বক্তব্য রাখেন পররষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, জাতিসংঘের রেসিডেন্স কো-অর্ডিনেটর ইন বাংলাদেশ নিল ওয়াকার, ল কমিশনের চেয়ারম্যান ইনচার্জ ড. এম শাহ আলম, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ড. মো. হোসাইন মনসুর প্রমুখ।
এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খোরশেদ আলম সমুদ্রসীমা নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থানগত বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জাতিসংঘ উইংয়ের মহাপরিচালক সাইদা মুনা তাসনিম।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের সমুদ্রসীমা বিষয়ে একটি বাণীর ভিডিও ক্লিপ প্রদর্শন করা হয়।
নিউজরুম