রুপসীবাংলা, ঢাকা (০৪ ডিসেম্বর) : যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আটক জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের মুক্তিসহ নানা দাবিতে মঙ্গলবারের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালে গাবতলী থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি।
বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড ঘুরে দেখা গেছে, ভোর থেকে অধিকাংশ টিকিট কাউন্টারে তালা ঝুলছে। কিছু কিছু টিকিট কাউন্টার খোলা থাকলেও সেখানে বিক্রি হচ্ছে শুধু রাতের টিকিট। এর ফলে দেশের উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রীরা পড়েছেন বিপাকে।
শাহনাজ খাতুন নামে এক যাত্রী মায়ের অসুস্থতার কথা শুনে ফরিদপুর যাওয়ার উদ্দেশ্যে ছুটে এসেছেন গাবতলী বাসস্ট্যান্ডে। কিন্তু দূরপাল্লার কোনো বাস গাবতলী থেকে ছেড়ে না যাওয়ায় অসুস্থ মাকে আর দেখতে যাওয়া হয়নি তার।
শাহনাজ খাতুন বাংলানিউজকে বলেন, “ মায়ের চিন্তায় রাতে টেলিভিশনে কোনো খবর দেখিনি। মায়ের অসুখ হলে কি আর খবর-টবর ভালো লাগে?’’
‘‘আগে থেকে হরতালের কথা জানতে পারলে কষ্ট করে গাবতলীতে না এসে অন্য ব্যবস্থা করে মায়ের কাছে যেতাম।”
একই অবস্থা গার্মেন্টর্সকর্মী হাসিনা খাতুনের। অসুস্থ বাবাকে দেখার জন্য গাজীপুরের সাইনবোর্ড থেকে ছুটে এসেছিলেন গাবতলীতে।
তিনি বাংলানিউজকে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, “অসুস্থ বাবাকে এক নজর দেখার জন্য চুয়াডাঙ্গা যাচ্ছি। কিন্তু কাউন্টারে এসে জানতে পারলাম, সন্ধ্যা ৬টার আগে কোনো বাস ছাড়বে না।”
শাহনাজ, হাসিনার মতো হরতালের ফাঁদে আটকা পড়েছেন খুলনার ইসলাম শেখও। গাবতলী এসে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য বাস না পেয়ে হতাশ তিনিও।
এ প্রসঙ্গে বরিশাল-কুয়কাটাগামী সাকুরা পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার হাবিব বলেন, “সকাল থেকে আমাদের সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। আমরা কোনো ঝুঁকি নিতে চাই না। হরতাল শেষ হলে বাস চলাচল শুরু হবে। টিকিট কাউন্টার খোলা রেখেছি রাতের টিকিট বিক্রির জন্য।”
নিউজরুম