কমেছে সবজির দাম, আবারও চড়া পেঁয়াজ

0
471
Print Friendly, PDF & Email

রুপসীবাংলা, ঢাকা (২৮ নভেম্বর) : শীতের সবজি সরবরাহ বেড়ে যাওয়ার কারণে সবধরনের সবজির দাম কমেছে। তবে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজের দাম।

রাজধ‍ানীর কারওয়ানবাজার,  নিউমার্কেট,  গুলশান,  সেগুনবাগিচা ও বড় মগবাজার কাঁচাবাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।

প্রতিকেজি পটল ৩৫ টাকা,  মূলা ৩০ টাকা,  পেঁপে ১৫, সিম ৪০, গাজর ৪০,  ঢেঁড়স ৫০, শসা ৩৫ ,বেগুন ৩৫-৪০, টমেটো ৮০ , কাঁচা টমেটো ৪০, নতুন আলু ৫০, শালগম ৩৫, কাঁচা মরিচ ৪০-৫০ ও বরবটি ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

তবে লাউ এর দাম বেড়েছে। প্রতিটি লাউ ৫০ টাকা থেকে ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

দেশি ও পেঁয়াজের দাম আবারও কেজিপ্রতি ৪ থেকে ৫ টাকা করে বেড়েছে।

প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫২ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা দরে।

বিক্রেতারা দাবি করছেন পেঁয়াজের মৌসুম শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে পেঁয়াজের দাম বাড়তি। কৃষকের ঘরে নতুন পেঁয়াজ উঠলে পেঁয়াজের দাম কমতে পারে তবে এর জন্য এখনও এক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে ক্রেতাকে।

রাজধানীর অনেক কাঁচাবাজরের দেশি পেঁয়াজ ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে যেমন বড় মগবাজার কাঁচাবাজার।

কাঁচাবাজারে গুড়া ও ছোট মাছের দাম কমেছে। স্থীতিশীল আছে বড়ো মাছের দাম।

প্রতিকেজি  তেলাপিয়া ১২০, কাতলা ২০০, পাঙ্গাস ১৩০, ছোট রুই ২৫০ , শিং ৬০০, শোল মাছ ৬০০, বড়ো সিলভার ১৩০, সরপুটি ১৫০ ও কই মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা দরে।

ছোট ও গুড়া মাছের দাম কমেছে। প্রতিকেজি ছোট চিংড়ি ৪৫০, ছোট পুঠি ১৪০ , ট্যাংরা ২০০-২৫০, চাপিলা ১৩০-১৫০,  ফাইসা ১৮০ ও পাঁচ মিশালি গুড়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা দরে।

ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিপ্রতি ৪ টাকা থেকে ৫ টাকা বেড়ে ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ২৭৫ টাকা থেকে ২৮০ টাকা দরে।

সবধরণের দেশি ও চায়না রসুনের দাম কমেছে। প্রতিকেজি চায়না রসুন ৮৫ টাকা থেকে ৯০ ও দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা থেকে ৫০ টাকা দরে।

খোলা ময়দার দাম বেড়েছে। প্রতিকেজি খোলা ময়দা ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে প্যাকেটজাত আটা ময়দার দাম স্থিতিশীল আছে । দুই কেজি প্যাকেটজাত ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৯৪ টাকা ও দুই কেজি প্যাকেটজাত আটা বিক্রি ৭৫ টাকা।

খোলা ও বোতলজাত তেলের দামও স্থিতিশীল আছে। প্রতিলিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৩৪ ও ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৬৫৫ টাকা থেকে ৬৬০ টাকা।

এছাড়া প্রতিলিটার খোলা পামঅয়েল বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা ও সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১২৮ টাকা দরে।

সবধরনের ডালের দামও বাড়তি। প্রতিকেজি চিকনদানা নেপালি মশুরডাল বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকা থেকে ১৪০ টাকা,  মোটদানা মশুরডাল বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা থেকে ৮০ টাকা,  ভাঙ্গা বুটডাল বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা, ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা থেকে ৯০ টাকা,  খেসারি ৭৫,  মুগডাল প্রকারভেদে ৯০ টাকা থেকে ১১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

লবনের দাম স্থিতিশীল আছে প্রতিকেজি প্যাকেটজাত চিকন লবন বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা ও মোটা লবন বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা দরে।

প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা দরে। আলু বিক্রি হচ্ছে ২৪ টাকা থেকে ২৫ টাকা দরে তবে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা দরে।

চালের দামও বাড়তি। কেজিপ্রতি ২ টাকা থেকে ৩ টাকা করে বেড়েছে। ভালো মানের মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা থেকে ৪২ টাকা, স্বর্ণা ৩৮ টাকা থেকে ৩০ টাকা,  লতা ৩৫ টাকা থেকে ৩৬ টাকা,  প্রকারভেদে নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা ৫০ টাকা দরে।

ডিমের দাম স্থিতিশীল আছে। সাদা ডিমের হালি ৩০, লাল ৩২, হাঁস ৩৮-৪০ ও দেশি মুরগির ডিমের হালি ৩৮-৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

নিউজরুম

শেয়ার করুন