রুপসীবাংলা, নয়াপল্টন (২৮ নভেম্বর): সমাবেশ শুরুর আগেই ১৮ দলীয় জোটের জনসভাস্থল দখলে নিয়েছে জামায়াত-শিবির। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তাদের নেতাকর্মীর সংখ্যা বাড়ছে নয়াপল্টনে।
সরকারবিরোধী গণসংগীত পরিবেশন করছে শিবিরের সহযোগী সাইমুম শিল্পী গোষ্ঠী।
এরই মধ্যে মূলমঞ্চের সামনের সারি দখলে নিয়েছে শিবির।
মঞ্চের ডান পাশ অর্থাৎ বিএনপি অফিসের পশ্চিম পাশ বিজয়নগর মোড় পর্যন্ত রাস্তার ডানপাশ দখলে নিয়েছে কয়েক হাজার জামায়াত কর্মী।
নেতা-কর্মীদের হাতে শোভা পাচ্ছে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক নেতাদের ছবি ও তাদের মুক্তির স্লোগান সম্বলিত বিভিন্ন ধরনের ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড।
সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ছে জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযম ও নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছবি সম্বলিত ব্যানার-পোস্টার-ফেস্টুন।
এমনকি মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ভেঙে দেওয়ার দাবিতেও স্লোগান দিচ্ছে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা।
বস্তুত যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তারের পর ঝিমিয়ে পড়া জামায়াত-শিবির বুধবারের সমাবেশকে ঘিরে যেন দারূণ চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। তবে তাদের সুশৃংঙ্খলভাবে অবস্থানের নির্দেশ দিচ্ছেন শিবিরের সাবেক
সভাপতি ও ঢাকা মহানগর ইউনিটের সহকারী সেক্রেটারি ডা. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
শিবিরের এক সূত্র জানায়, ঢাকা মহানগরসহ দেশের বিভিন্ন জেলা, সব ক’টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবিরের নেতাকর্মীরা সমাবেশে উপস্থিত হয়েছেন।
সকালের দিকে শিবিরের ছোট ছোট মিছিল আকারে তারা মঞ্চের দিকে আসতে থাকেন। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মঞ্চের ডান পাশে অবস্থান নেয় কয়েক হাজার শিবির কর্মী।
যে সব নেতার নেতৃত্বে শিবির কর্মীরা এখানে এসেছেন তাদের মধ্যে শিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি আব্দুল জব্বার, প্রচার সম্পাদক আবু সালেহ মোহাম্মদ ইয়াহিয়া, ঢাকা মহানগরীর চার জোনের সভাপতি, সেক্রেটারি, ঢাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি প্রমুখ আছেন।
শিবিরের প্রচার সম্পাদক আবু সালেহ মো. ইয়াহিয়া বলেন, “মহাসমাবেশ সফল করতে আমাদের সর্বাত্মক প্রস্তুতি আছে। আমাদের টার্গেট ছিল ৪০/৪৫ হাজার লোক জড়ো করার। কিন্তু আমাদের টার্গেটের চেয়ে অনেক বেশি নেতাকর্মী এখানে উপস্থিত হয়েছেন।”
শিবিরের সাবেক সভাপতি ড. ফখরুদ্দিন মানিক বলেন, “আজকের সমাবেশে আমরা সবচেয়ে বেশি উপস্থিতি দেখাব ।”
তিনি আরো বলেন, “বর্তমানে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের নামে যে নাটক চলছে তা বন্ধ করতে হবে। দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ও গোলাম আযমকে মুক্তি দিতে হবে। কারণ, এটা মীমাংসিত বিষয়।”
তিনি আরো বলেন, “আন্তর্জাতিকের নামে দেশি টাইব্যুনাল আমরা মানবো না।”
মতিঝিল থানা জামায়াত ইউনিটের সভাপতি রবিউল ইসলাম বলেন, “দেওয়ালে আমাদের পিঠ ঠেকে গেছে। সরকার পতনের আন্দোলন ছাড়া আমাদের সামনে আর কোনো পথ নেই। কারণ বিচারের নামে বর্তমান সরকার আমাদের নেতাশূন্য করবে।”
নিউজরুম