রুপসীবাংলা, ঢাকা (২৭ নভেম্বর) :নয়াপল্টনে বুধবার ১৮ দলের জনসভায় শো-ডাউন দিতেউত্তরাঞ্চল থেকে প্রায় ৫ হাজার শিবির ক্যাডার এসেছে রাজধানীতে। রোববারথেকে তারা ঢাকায় আসা শুরু। শিবিরের রাজশাহী অঞ্চলের দায়িত্বশীল এক নেতাতাদের ঢাকা আসার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে সমাবেশে শিবিরনাশকতা করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। জনসভার দিন শিবিরেরনাশকতা ঠেকাতে এরইমধ্যে রাজধানীতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
ডিএমপিরঅতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল জলিল মন্ডল বাংলানিউজকে বলেন, “শিবিরের বিরুদ্ধেমামলা চলমান রয়েছে। এছাড়া এখন পর্যন্ত যাদের গ্রেফতার করা যায়নি, তাদেরবিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ওই দিন যদি মামলার আসামি দেখা যায়অবশ্যই তাদের আটক করা হবে।”
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আগামী ২৮নভেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপিসহ ১৮ দলের জনসভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথারয়েছে। এর আগে ১৮ দলের জনসভাগুলোতে দেখা গেছে শিবিরের আধিপত্য। তারানিজেদের শক্তি দেখাতে জনসভার সামনের সারি দখল নিয়ে থাকতো। কিন্তু বর্তমানপ্রেক্ষাপট কিছুটা ভিন্ন। সম্প্রতি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটকজামায়াতের শীর্ষ নেতাদের মুক্তিসহ বেশ কিছু দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলের নামেরাজধানীসহ সারাদেশে পুলিশের উপর হামলা করছে তারা।
জয়পুরহাটে পুলিশেরগায়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগেরএক নেতার উপর বর্বরোচিত হামলা করে তার পায়ের রগ কেটে দিয়েছে।
এ সবঘটনায় বর্তমান সরকারের শুরু থেকে সারাদেশে কোনঠাসা শিবির আরো কোনঠাসা হয়েপড়েছে। পুলিশ প্রতিদিনই শিবির কর্মীদের গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা করেআসছে। গ্রেফতার হচ্ছে অসংখ্য কর্মী। এ কারণে শিবির কর্মীরা এখন আত্মগোপনে রয়েছে। শিবির ধারাবাহিক বিক্ষোভ মিছিল বের করার নামে পুলিশের উপর হামলাকরলেও গত কয়েকদিন তারা চুপচাপ রয়েছে।
এদিকে ১৮ দলের এই জনসভাকেঘিরে আবারো সংঘটিত হয়েছে শিবির কর্মীরা। ওই দিন তারা রাজধানীতে বড় ধরনেরশো-ডাউন করতে চায়। এ লক্ষে দেশের অন্যান্য স্থানের মতো উত্তরাঞ্চলেরবিভিন্ন জেলা শহর থেকে অন্তত ৫ হাজার শিবির ক্যাডার রাজধানীতে এসেছে।
এদিকেজনসভার দিন শিবির রাজধানীতে বড় ধরনের নাশকতা করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেগোয়েন্দা সংস্থাগুলোও। এ আশঙ্কার প্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শিবিরবিরোধী অভিযানও জোরদার করেছে। রাজধানী জুড়ে বাড়ানো হয়েছে পুলিশি টহল।
রাজশাহীবিশ্ববিদ্যালয়ের শিবিরের প্রচার সম্পাদক তাহিরুল আহসান তোহা বলেন, “আমাদের চলমান আন্দোলন এখন কিছুটা স্থির। কেননা ২৮ নভেম্বর ঢাকায়সমাবেশ। কয়েকদিন আমরা বৈঠক করে ঢাকায় আসার প্রস্তুতি সম্পন্ন করি।”
তিনি বলেন, “২৪ নভেম্বর থেকে ২৭ নভেম্বরের মধ্যে আমাদের কর্মীরা ঢাকায় পৌছে ২৮ তারিখের জনসভায় যোগ দেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।”
একপ্রশ্নের জবাবে তোহা বাংলানিউজকে জানান, “রাজশাহী মহানগর, জেলা, বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভাগের প্রতিটি জেলা মিলিয়ে কমপক্ষে ৫ হাজার লোক আমরাঢাকার সমাবেশে হাজির করার চেষ্টা করছি।”
পুলিশের উপর হামলা প্রসঙ্গে তোহা বলেন, “আমরা কোন সময় আগে পুলিশের উপর আক্রমণ করি না। পুলিশ বাধা দিলে আমরা তা প্রতিরোধ করি।”
ঢাকায় এসে পুলিশের প্রতিরোধের মুখে পড়লে কি করবেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমাদের বাধা দিলে আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুলবো।”
ডিএমপিরঅতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল জলিল মন্ডল বলেন, “শিবিরের বিরুদ্ধেচলমান মামলা রয়েছে। এ সব মামলার আসামিদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। ২৮ নভেম্বরেরজনসভায় মামলার আসামিদের দেখা গেলে অবশ্যই গ্রেফতার করা হবে।”
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “নাশকতা ঠেকাতে রাজধানী জুড়ে পুলিশ সচেষ্ট রয়েছে। কেউ যদি নাশকতা করতে চায় পুলিশ তা প্রতিহত করবে।”
নিউজরুম