রৃপসীবাংলা ঢাকা (২৬ নভেম্বর) : সাভারের আশুলিয়ায় একটি গার্মেন্টস কারখানায় ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন কারখানারই এক কর্মী। বিষয়টিতে মামলার পর আদালতে গড়ালে সোমবার বিকেলে অপকর্মের কথা নিজেই স্বীকার করেন সুমি বেগম নামের ওই শ্রমিক।
ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে সুমি বেগম জানান, কারখানার কর্মকর্তা জাকির হোসেনের কাছ থেকে নগদ টাকা নিয়ে নিচ তলায় ফিনিশিং সেকশনের একাংশে আগুন ধরিয়ে দেন তিনি।
আশুলিয়ার গোরাটে সরকার মার্কেট রোডে ডেবোনিয়ার নামের কারখানায় এই ঘটনাটি ঘটে ২৫ নভেম্বর রোববার দুপুর আড়াইটায়। বিষয়টি কর্তৃপক্ষ দ্রুত টের পেলে নিজেদের কর্মীদের দিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়। সিসি ক্যামেরায় ধারনকরা ভিডিও থেকে সুমি বেগমকে শনাক্ত করে তার বিরুদ্ধে মামলা করেন কারখানার মহাব্যবস্থাপক নিরোধ বড়ুয়া।
মামলার জের ধরে পুলিশ সুমি বেগম ও জাকির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।
পরে আসামি সুমি বেগম আদালতে স্বীকারোক্তি দেন। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ওয়াসিম শেখ এ জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
তবে অপর আসামিকে জাকির হোসেনকে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার এসআই ফরিদ আহমেদ।
রিমান্ড শুনানিতে জাকিরের আইনজীবী ঘটনার সাথে জাকিরের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করলে ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াসিম শেখ বলেন, ‘সুমি বেগমতো স্বীকারোক্তিতে আপনার নাম বলেছে। আপনি তাকে আগুন দেওয়ার জন্য ২০ হাজার টাকা দিয়েছেন।’
শুনানি শেষে ম্যাজিষ্ট্রেট জাকিরের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার আর্জিতে উল্লেখ করা হয়, গত রোববার আশুলিয়া থানাধীন গোরাট, সরকার মার্টেক রোডে অবস্থিত ডেবনিয়ার গার্মেন্টেসের ফিনিশিং সেকশনের ফিনিসড মালে আগুন দেয় সুমি বেগম। বিষয়টি গার্মেন্টেসের গোপন ক্যামেরায় ধরা পড়ে। ঘটনার পরপরই গার্মেন্টেসের ফায়ার ফাইটাররা দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। তবে তার আগেই কয়েক হাজার প্যান্ট পিছ আগুনে পুড়ে যায়। যার আনুমানিক মুল্য ২০ লাখ টাকা।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, আসামিদের সাথে বাংলাদেশে গার্মেন্টস শিল্প ধ্বংসকারী চক্রের সাথে সরাসরি যোগসাজস আছে।
এ প্রসঙ্গে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাভার থানার এসআই ফরিদ আহমেদ জানান, সুমি নিজেই আদালতে বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন।
আদালতের নির্দেশে সুমি ও জাকির হোসেনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ফরিদ আহমেদ আরও জানান, ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কি না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
অন্য কারো জড়িত থাকার সন্দেহ করছেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, “সন্দেহ তো হতেই পারে।”