ত্যাগের মহান আশুরা

0
237
Print Friendly, PDF & Email

ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় হিজরী সনের প্রথম মাস মুহররমের ১০ম তারিখকে পবিত্রআশুরা বলা হয়ে থাকেইসলামী সন গণনায় মুহররম মর্যাদাবান মাসমুহররমশব্দের অর্থ নিষিদ্ধ বা পবিত্রএ মাস সহ আরো ৩টি মাসে ঝগড়া-বিবাদ ও যুদ্ধবিগ্রহ করা নিষিদ্ধএরকম নিষিদ্ধ কর্মকাণ্ড থেকে মাসটি পাক-পবিত্র বলে একেমুহররম বা পাক পবিত্র মাস বলা হয়ে থাকেরাসূল (সঃ) এ মাসে কোন ধর্মযুদ্ধওকরেননিএমনকি ইসলাম পূর্ব যুগেও এ মাসে শান্তি বিরাজ করতো
মুহররম, রজব, যিলক্বদ ও যিলহজ্ব- এ চারটি মাসকে আল্লাহ তায়ালা পরম সম্মানিত ওপবিত্র বলে আল কুরআনে উল্লেখ করেছেনএরশাদ হয়েছে ‘‘তোমরা জেনে রেখ, এইচারটি মাস বড় ফজিলত ও বরকতপূর্ণতোমরা এই মাসগুলোতে পাপাচার করে নিজেদেরউপর জুলুম করো না’’স্বাভাবিকভাবে বুঝা যায়, এসব মাসে নেক আমল করলেছাওয়াবও বেশি হবেউল্লেখিত চার মাসের মধ্যে মুহররমের ঐতিহাসিক গুরুত্বঅপরিসীমপ্রাচীন আরবরা মুহররমের ১০ তারিখ দর্শনার্থীদের জন্য কাবা ঘরেরদরজা খোলা রাখত
পবিত্র আশুরা মুসলিম ঐতিহ্যে বড়ই বরকতপূর্ণ ও নানাভাবেঅবিস্মরণীয়ইসলামপূর্ব যুগেও এ দিনকে খুব মর্যাদা সহকারে পালন করা হতোসৃষ্টির শুরু থেকে এ দিনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সংঘটিত হয়েছেপবিত্রআশুরার দিনে মহান আল্লাহ তায়ালা সাগর, পাহাড়, প্রাণীকুল, আসমান-জমিন ওলওহ-কলম সৃষ্টি করেছেনআবার এদিনেই আরশে আজীমে সমাসীন হয়েছেনতামামমাখলুকাত ধ্বংসও হবে মুহররমের দশ তারিখে
আজ মুসলিম উম্মাহ সেই গৌরবজনকঅধ্যায় ভুলে গেছেত্যাগ, নিষ্ঠা ও কুরবাণীর শিক্ষা হারিয়ে নানা রকম শরীয়তগর্হিত রসম-রেওয়াজে জড়িয়ে পড়েছেএকশ্রেণীর মুসলমান হযরত হোসাইন (রাঃ)এরপ্রতি শোক করতে গিয়ে হায় হোসাইন, হায় হোসাইনশব্দে বুকে চপেটাঘাত করেমাতম তোলেরাস্তায় র‌্যালি বের করে, অদ্ভূত মঞ্চ সজ্জা করেশোক প্রকাশকরতে গিয়ে রাতের গভিরে হঠা ব্যান্ড শোর গানে বিকট শব্দ করে ঘুমন্তমানুষকে হতবিহবল ও আতঙ্কিত করে তোলেধর্মীয় আবেগ বিকৃত এসব মুসলমানদ্বীনের প্রকৃত শিক্ষা থেকে বহু দূরে অবস্থান করছেআর ইয়াজিদেরউত্তরসূরিরা এখনও বহাল আছে তবে হোসাইনের মত আপসহীন ঈমানদার বীরপুরুষ নেই

শেয়ার করুন