রুপসীবাংলা, ঢাকা (২৫ নভেম্বর) তাজরিন গার্মেন্টসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডেনিহত হতভাগ্য শ্রমিকদের মৃতদেহ এখন সাদা কাফনে মুড়িয়ে স্থানীয়নিশ্চিন্তপুর সরকারি প্রাথমিক মাঠে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।এই মুহূর্তেনিশ্চিন্তপুর স্কুল মাঠে নিহতের স্বজনরা লাশ গ্রহণ করতে লাইন ধরে নামলেখাচ্ছেন। সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়েছে। শোকে মুহ্যমানস্বজনদের অনেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে পারছেন না, মূর্ছা যাচ্ছেন।
এমনিএকজন কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীর লুৎফর রহমান। গত রাতের অগ্নিকাণ্ডে তাজরিনগার্মেন্টসে তার মেয়ে ববিতা নিহত হয়েছেন। মেয়ের কথা স্মরণ করে লুৎফর বারবার জ্ঞান হারাচ্ছিলেন। হঠাৎ বলে উঠছিলেন, ‘‘হামার মেয়েক চাই, আর কিছু চাইনা।’’
এদিকে, নিহত পোশাক শ্রমিকদের প্রত্যেকের পরিবারকে শুধু দাফনেরজন্য নগদ এক লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। রোববার সকালেবিজিএমইএর প্রতিনিধি জাহানারা বেগম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, বিজিএমইএর শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ইতোমধ্যে নিশ্চিন্তপুরের পথে রওনা হয়েছেন।রেড ক্রিসেন্টের দেওয়া কফিনব্যাগে ১০০টি মৃতদেহ ভরা হয়েছে। মৃতদেহগুলোভ্যানে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে স্থানীয় নিশ্চিন্তপুর সরকারি প্রাথমিকবিদ্যালয়ে।রোববার সকালে ফায়াস সার্ভিসের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান। এর আগে তারা ১১৫টি মৃতদেহ পাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন।
এদিকে আশুলিয়ায় তৈরি পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ১১৫ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববারসকালে ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজে নেতৃত্ব দেওয়া নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসিসৈয়দ হাসান সোহরাওয়ার্দী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।তিনি জানান, নিশ্চিন্তপুরের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শোক জানিয়েছেন।
নিউজরুম