রুপসীবাংলা, ঢাকা (২৩ নভেম্বর) :নতুন বীমা কোম্পানির উদ্যোক্তাদের জন্য কঠিন শর্ত আসছে। এখন থেকে বীমা কোম্পানির লাইসেন্স পেতে পালন করতে হবে কঠিন শর্ত।
এরই মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি প্রবিধান চূড়ান্ত করেছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)।
বৃহস্পতিবার প্রবিধানমালাটি যাচাই বাছাইয়ের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র এটি নিশ্চিত করেছে।
জানাগেছে, বীমা খাতে রাজনৈতিক ও আর্থিক ক্ষমতাবলে কোম্পানির লাইসেন্স নেওয়ারপ্রবণতা বেশি দেখা যায়। এতে প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা নাথাকায় ডুবতে বসেছে কয়েকটি বীমা কোম্পানি। এই প্রেক্ষাপটে প্রতিযোগিতারবাজারে নতুন বীমা লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে কঠোর অবস্থান নিয়েছে নিয়ন্ত্রকসংস্থা আইডিআরএ।
এখন উদ্যোক্তাদের শর্তের বেড়াজাল পেরিয়ে লাইসেন্স নিতে হবে।
বৃহস্পতিবারঅর্থমন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া প্রবিধানমালা অনুযায়ী, বাংলাদেশ গঠিত বীমাকোম্পানির ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত বীমা কোম্পানির জন্য উদ্যোক্তাগণ ও গ্রাহকগণকর্তৃক প্রদত্ত মূলধন তরল, ভারমুক্ত অর্থাৎ নগদ বা অনুমোদিত সিকিউরিটিজহতে হবে।
বীমা কোম্পানী প্রতিষ্ঠান ৩ বছরের মধ্যে কোম্পানি পাবলিকশেয়ার ইস্যু করবে এবং বীমা আইন ২০১০ এর সিডিউল ১ অনুযায়ী পাবলিক শেয়ারন্যূনতম পরিশোধিত মূলধনের ৪০ শতাংশ হবে; সাধারণ বীমার জন্য প্রত্যেকউদ্যোক্তার ন্যূনতম শেয়ার হবে ৪৮ লাখ টাকা ও জীবন বীমার ক্ষেত্রে হবে ৩৬লাখ টাকা এবং সর্বোচ্চ শেয়ার কোম্পানির মোট শেয়ারের ১০ শতাংশ হতে পারবে।
এইদশ শতাংশ শেয়ার একজন ব্যক্তি, কোম্পানি বা পরিবারের সদস্যদের জন্যপ্রযোজ্য; শেয়ার ধারণের সর্বোচ্চ সীমা দশ শতাংশ পর্যন্ত শিথিল করা যাবে, যদি বীমা কোম্পানিটি কোন বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে সংযুক্তভাবে প্রতিষ্ঠিতহয়; শতকরা ৫ শতাংশ বা তার বেশি শেয়ারধারী উদ্যোক্তগণকে একটি ক্যাপিটালম্যানেজমেন্ট চুক্তি করতে হবে; এতে উল্লেখ থাকবে যে, ‘যদি কোম্পানি কখনোন্যূনতম প্রয়োজনীয় মূলধনের নিচে আসে, তবে তারা যৌথভাবে বা পৃথকভাবেকোম্পানিতে অতিরিক্ত মূলধন যোগান দেবে।’
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এরুপমূলধন যোগ করার ব্যর্থতার ক্ষেত্রে, প্রয়োজনীয় মূলধন যোগানের সম্পূর্ণদায়-দায়িত্ব উদ্যোক্তাগণ সকলের ওপর বর্তাবে।
এছাড়া বীমা উন্নয়ন ওনিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ব্যবসা শুরুর ৩ বছরের মধ্যে উদ্যোক্তারাশেয়ার হস্তান্তর করতে পারবে না। প্রস্তাবিত বীমা কোম্পানিতে উদ্যোক্তাদেরপ্রদত্ত ইক্যুইটি মূলধন আয়কর কর্তৃপক্ষের আইটি-১০বি ফর্মে ঘোষিত সম্পদেরমধ্যে হতে হবে।
ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে গৃহীত ঋণ হতেপ্রদত্ত ইক্যুইটি গ্রহণযোগ্য হবে না। যদি কোন ব্যক্তি বা তার পরিবারের কোনসদস্য কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে গত ৫ বছরের মধ্যে ঋণখেলাপিহয়ে থাকেন তা হলে তিনি প্রস্তাবিত বীমা কোম্পানির উদ্যোক্তা হিসাবে আবেদনকরার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না।
যদি কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদালতেঋণখেলাপি মামলা অমীমাংসিত থাকে তা হলে তিনি প্রস্তাবিত কোম্পানিরউদ্যোক্তা হিসেবে আবেদন করার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না। একজন করদাতাউদ্যোক্তা হিসাবে বিবেচিত হবেন না যদি তার সাম্প্রতিক বা অতীতের যে কোনবছরের কোন অপরিশোধিত বকেয়া আয়কর থাকে।
যদি কোন করদাতা কোন কোর্ট বাট্রাইব্যুনালে আয়কর অর্ডিন্যান্স ‘১৯৮৪’ এর ধারা-৯৩ এর আওতায় কোন মামলায়শাস্তিপ্রাপ্ত হন অথবা কোন কোর্ট বা ট্রাইব্যুনালের রায় প্রকাশের অপেক্ষায়থাকে, তা হলে প্রস্তাবিত কোম্পানির উদ্যোক্তা হিসেবে আবেদন করার যোগ্য বলেবিবেচিত হবেন না।
যদি কোন করদাতা চলতি বছরের আয়কর বিবরণী দাখিল নাকরে থাকেন অথবা আয়কর অর্ডিন্যান্স ‘১৯৮৪’ এর ধারা – ৯৩ অনুসারে তারনিষ্পত্তিকৃত আয়কর মামলা পুনরুজ্জীবিত হয় সেক্ষেত্রে তিনি প্রস্তাবিতকোম্পানির উদ্যোক্তা হিসেবে আবেদনের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না।
যদিকোন করদাতার কোর্ট বা ট্রাইব্যুনালে কাস্টমস আইন -১৯৬৯, মূল্য সংযোজন করআইন -১৯৯১, আবগারি শুল্ক ও সল্ট আইন-১৯৪৪ অনুসারে অনিষ্পত্তিকৃত কাস্টমসডিউটি, সংযুক্ত কর, আবগারি শুল্ক মামলার রায় অনিষ্পত্তিকৃত থাকে বাঅপরিশোধিত দায় থাকে তা হলে তিনি প্রস্তাবিত কোম্পানির উদ্যোক্তা হিসেবেআবেদন করার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না।
নিউজরুম