রুপসীবাংআ, ইবি (২২ নভেম্বর) : উপাচার্যসহ তিন কর্তা ব্যক্তির পদত্যাগদাবিতে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আন্দোলনরত শিক্ষক সমিতিরসিদ্ধান্তে প্রশাসনের বিভিন্ন পদে থাকা আন্দোলনকারী ২০ শিক্ষক সমিতিরসভাপতির কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন-দুই সহকারী প্রক্টর কামরুল ইসলাম ওড. কামরুজ্জামান, জিয়া হলের প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ সেলিম, লালন শাহ হলেরপ্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ অলিউল্লাহ ও খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট ড. মামুনুররহমান, কম্পিউটার সেন্টারের পরিচালক তপন কুমার জোয়ার্দার, আই.আই.ই.আর এরপরিচালক অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, বি.এন.সি.সির পরিচালক অধ্যাপক ড.জাহাঙ্গীর হোসেন, রোভার স্কাউটসের সম্পাদক ড. রুহুল কে.এম সালেহ, জিয়া হলের৩ আবাসিক শিক্ষক ফকরুল ইসলাম, ড. নুর মোহাম্মদ এবং নুরুল ইসলাম।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতেবৃহস্পতিবারও প্রশাসনিক ভবনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষক সমিতি।অপরদিকে, শিক্ষক সমিতির আয়োজনে ২২ নভেম্বর সাদামাটাভাবে উদযাপিত হয়েছে স্বাধীনতারপর প্রতিষ্ঠিত দেশের প্রথম এ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৩তমপ্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ইসলামীবিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে এদিন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরঅংশগ্রহণে একটি র্যালি ও সমাবেশ করেছে শিক্ষক সমিতি। র্যালিতে নের্তৃত্বদেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. ইয়াকুব আলী।
সকাল ১১টায়র্যালিটি অনুষদ ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে প্রসাশনিক ভবনের সামনে একসংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। পরে বেলা সাড়ে ১১টায় পূর্ব ঘোষিতঅবস্থান কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রসাশন ভবনের করিডোরে অবস্থান নেন শিক্ষকনেতারা।
এসময় বক্তারা বলেন, ‘‘প্রসাশনের ওই তিন কর্তাব্যক্তিরঅপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। তবে আগামী রোববার পর্যন্তসরকারি ছুটি থাকায় সোমবার থেকে আবার আন্দোলন শুরু হবে। তবে আমরা আশা করি, আমাদের রোববার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না। তার আগেই আমরা সফল হবো।’’
২০শিক্ষকের পদত্যাগ পত্র তার কাছে জমা দেওয়ার ব্যাপারে শিক্ষক সমিতির সভাপতিবাংলানিউজকে বলেন, “আমরা এই উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষকেঅবাঞ্চিত ঘোষণা করেছি এবং এই প্রসাশনকেও আমরা মানিনা। তাই তাদের কাছেপদত্যাগ পত্র জমা না দিয়ে আমার কাছে জমা দিয়েছেন সমিতির ২০ শিক্ষক।”
এদিকে, কুষ্টিয়া শহরে আন্দোলনকারী তিন শিক্ষককে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ায় প্রতিবাদজানিয়েছে শিক্ষক সমিতি। বুধবার সকাল ১০টার দিকে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতিঅধ্যাপক ড. আবুল আহসান চৌধুরীর বাসায় গিয়ে এ হুমকি দেয় দুর্বৃত্তরা। এছাড়াবঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রুহুল কে.এম. সালেহ ও বাংলাবিভাগের শিক্ষক ড. বাকিবিল্লাহ বিকুলকে মোবাইল ফোনে এসএমএস এর মাধ্যমেহুমকি দেওয়া হয়েছে।
নিউজুরুম