রুপসীবাংলা, ঢাকা (২২ নভেম্বর) :সারাদেশে সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি চিকিৎসক ওতিন হাজারের বেশি নার্সের পদ শূন্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ওপরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক।বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে আহমেদ নাজমীন সুলতানার প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
তিনিবলেন, “সারাদেশে এ মুহূর্তে পাঁচ হাজার ৭৩১টি ডাক্তারের পদ শূন্য রয়েছে।সরাসরি নিয়োগযোগ্য ডাক্তারের শূন্য পদগুলো বিসিএস-এর মাধ্যমে পূরণ এবংপদোন্নতি যোগ্য পদগুলো পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণের লক্ষ্যে কার্যক্রম গ্রহণকরা হয়েছে। সেবা পরিদপ্তরের আওতাধীন বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে তিনহাজার ২০৫টি নার্সিং শূন্য পদ আছে। এসব পদ পূরণ করার লক্ষ্যে নিয়োগ বিধিপ্রণয়ন করা হচ্ছে।”রাশেদা বেগম হীরার প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রীজানান, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল’র (বিএমডিসি) তথ্যঅনুযায়ী সারাদেশে ৫৭ হাজার ৮৭৫ জন রেজিস্ট্রেশন পাওয়া ডাক্তার রয়েছে।
শওকতমোমেন শাহজাহান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করেন, প্রাইভেট হাসপাতাল ওক্লিনিকগুলোয় টেস্ট করার ক্ষেত্রে উচ্চমাত্রার কমিশন গ্রহণ করা হচ্ছে।জবাবে রুহুল হক বলেন, “এ ব্যাপারে কোনো সুনিদিষ্ট তথ্য বা অভিযোগ নেই। অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”অপুউকিল জানতে চান, সম্ভাব্য অপারেশনজনিত কোনো রোগী সরকারি হাসপাতালে গেলেডাক্তাররা তাদের ব্যাক্তিগত প্রাইভেট ক্লিনিকে যাওয়ার জন্য প্ররোচিত করেন। এব্যাপারে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না।
জবাবে মন্ত্রী বলেন, “এ ব্যাপারে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য বা অভিযোগ নেই। অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
নাছিমুল আলম চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, “বর্তমানে দেশে সরকারি ৫৭৮টি হাসপাতালে ৬৫ হাজার ৪৭০টি শয্যা রয়েছে।”
ফজিলাতুননেসা বাপ্পি’র প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, কর্মস্থলে ডাক্তারদেরউপস্থিতি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এরই মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএসশাখায় একটি মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। মোবাইল ফোন ও ওয়েব ক্যামেরারমাধ্যমে ডাক্তারদের কর্মস্থলে উপস্থিতি তদারকি করা হচ্ছে। কোনো ডাক্তারেরঅনুপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলকব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এছাড়া প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে কম্পিউটার ওওয়েব ক্যামেরা সরবরাহসহ ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া হয়েছে।
নিউজরুম