রুপসীবাংলা, ঢাকা (২২ নভেম্বর) : পদ্মাসেতু প্রকল্পে দুর্নীতির বিষয়ে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ও সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াসহ ১১ ব্যক্তিকে পূণরায় তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বাংলানিউজকে দুদকের তদন্ত টিম এ সূত্র নিশ্চিত করেছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে দুদক ২৮ নভেম্বর কমিশনে হাজির হওয়ার জন্য তাদেরকে নোটিশ পাঠায়।
পদ্মাসেতু প্রকল্পের সাবেক পরিচালক রফিকুল ইসলাম, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী ও নিক্সন চৌধুরীকেও একই দিন জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুদক।
দুদকের তদন্ত টিম জানায়, ডিসেম্বরে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার আগে তাদেরকে পূণরায় জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন বলে মনে করেছেন দুদকের তদন্ত কর্মকর্তারা।
পদ্মাসেতু প্রকল্পে কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান এসএনসি-লাভালিনকে পরামর্শক হিসেবে কাজ পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে যাদের ঘুষ দিতে হবে এমন কিছু ব্যক্তির নামের তালিকা গত জুলাই মাসে পেয়েছে দুদক। বিশ্বব্যাংকের তরফ থেকে দুদক চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো একটি চিঠির সঙ্গে ওই তালিকাটি পাঠানো হয়। তালিকায় সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের ব্যক্তিদের নাম রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি নাম সংক্ষেপে ও কয়েকটি নাম পূর্ণাঙ্গরূপে লেখা রয়েছে। সংক্ষেপে যাদের নাম লেখা রয়েছে তারা সবাই পদ্মাসেতু প্রকল্পের কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
দুদক সূত্র জানায়, ওই তালিকায় প্রথমেই লেখা হয়, দাবি অনুযায়ী তাদের কিছু দিতে হবে। পরে সিরিয়াল অনুযায়ী নামগুলো লেখা হয়। কানাডিয়ান নাগরিক রমেশের ডায়েরিতে ঘুষ প্রদানের তালিকায় প্রথমে সংক্ষিপ্তভাবে লেখা হয় তিন ব্যক্তির নাম। তারা হচ্ছেন, তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া ও পদ্মাসেতু প্রকল্পের সাবেক পরিচালক রফিকুল ইসলাম।এরপর সম্পূর্ণ রূপে লেখা হয় সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী ও নিক্সন চৌধুরীর নাম।
অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তালিকায় উল্লেখ থাকা ব্যক্তিদের একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক।
নিউজরুম