নিজস্ব প্রতিবেদক, নওগাঁ (২১ নভেম্বর) আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করতে গিয়ে দেশী মাছের বংশ নিপাত হতে চলেছে। ধামইরহাট উপজেলা আদি বরেন্দ্র অঞ্চলভূক্ত হলেও এ উপজেলায় এক সময় পানীয় জলের সু ব্যবস্থার জন্য প্রায় ১ হাজার ২শত সরকারী পুকুর রয়েছে।
তাছাড়া ব্যক্তি মালিকানায়ও প্রায় ২ থেকে আড়াই হাজার পুকুর সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। সরকারী পুকুরগুলো বতর্মানে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ পুনঃ খনন করে সমবায় পদ্ধতিতে মাছ চাষের আওতায় আনা হয়েছে। অন্য দিকে ব্যক্তি মালিকানাধীন পুকুরগুলো আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে অধিকহারে মাছ উৎপাদন করছে। ফলে পুকুরগুলোতে আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করার জন্য পুকুরে চুন ইউরিয়া সার, গ্যাস বড়ি ও কীটনাশক প্রয়োগ করে দেশী প্রজাতির বিশেষ করে
মাগুর,শৈল,শিং,কই,টাকি,পাবদা,ফলি,বোয়াল,চিতল,টেংরা,মলা ঢেলা,চাপিলা ও ভেদা প্রজাতির মাছ প্রায় বিলুপ্ত হতে চলেছে। বিদেশী সিলভার কার্প, পাঙ্গাস,মিনার কার্প,লাইলেটিকা,হাঙ্গেরী জাতের মাছ চাষ করতে সময় কম লাগাই মৎস্যচাষীগণ এসব মাছ চাষে বেশী ঝুকে পড়ছেন। ফলে হাট বাজারগুলোতে আর দেশী প্রজাতির মাছ দুপ্রাষ্প্য হয়ে পড়েছে। দেশী মাছ সংরক্ষণ বা এ প্রজাতির মাছ চাষের ব্যবস্থা না করলে এক সময় এলাকাটি দেশীয় মাছ শুন্য হয়ে পড়বে।
নিউজরুম, প্রতিবেদক মোফাজ্জল হোসেন