রুপসীবাংলা, ঢাকা(২১ নভেম্বর):বঙ্গবন্ধু হত্যামামলার দণ্ডপ্রাপ্ত পালাতক আসামিদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বুধবারবঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত বিদেশে পালিয়ে থাকা আসামিদের ফিরিয়েআনতে গঠন করা টাস্কফোর্সের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
টাস্কফোর্সেরবৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, “বঙ্গবন্ধুর হত্যা মামলার আসামিরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন না। বিচারএড়িয়ে যাবার চেষ্টা চালাচ্ছেন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তাদেরসম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
আইনমন্ত্রী বলেন, “বিদেশে পালিয়ে থাকা আসামিদের দ্রুত ফিরিয়ে এনে বিচার কার্যকর করতে বিদেশিমিশনকে তৎপর হওয়ার নির্দেশনা দিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
আইনমন্ত্রীবলেন, “পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশি মিশনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদেশগুলোকে পালিয়ে থাকা আসামিদের পাসপোর্ট ভিসা যেনো না দেয় তার ব্যবস্থানেবে।”
ব্যারিস্টার শফিক বলেন, “বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আসামিদেরফিরিয়ে আনতে নিয়োগ করা দুটি ‘ল’ ফার্মকে তৎপর হওয়া এবং দ্রুত গতিতে তাদেরকাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়ারও সিদ্ধান্ত হয়েছে।”
প্রসঙ্গত: বঙ্গবন্ধুর খুনদের ফিরিয়ে আনতে আমেরিকা ও কানাডার দুটি ‘ল’ ফার্মকে নিয়োগ করে সরকার।
আইনমন্ত্রীসাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, “নুর চৌধুরী কানাডায় এবং রাশেদ চৌধুরীআমেরিকায় অবস্থান করছে। তবে অন্য চারজনের অবস্থান নিশ্চিত নয়। কেউ কেউ বলছেপাকিস্তানে, কেনিয়ায় রয়েছে।” ইন্ডিয়া, কেনিয়া, অস্ট্রোলিয়াতে তাদের দেখাগেছে বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
আইনমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিতসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দিন খান আলমগীর, দেশের প্রধান আইনকর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে সপরিবারেহত্যার পর প্রায় ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে বিচার শুরুকরে। আর ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের রায়ের মাধ্যমে বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।চূড়ান্ত বিচারে ১২ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
২০১০সালের ২৯ জানুয়ারি গভীর রাতে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি বজলুল হুদা, মহিউদ্দিন আহমেদ (আর্টিলারি), সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খানএবং একেএম মহিউদ্দিন (ল্যান্সার) ফাঁসি দিয়ে রায় কার্যকর করা হয়। অপরদিকেআজিজ পাশা জিম্বাবুয়েতে ২০০২ সালে মারা যান।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ছয়খুনি লে. কর্নেল (বরখাস্ত) আবদুর রশিদ, মেজর (বরখাস্ত) শরিফুল হক ডালিম, মেজর (অব:) বি নূর চৌধুরী, রিসালদার মোসলেহ উদ্দিন, লে. কর্নেল (অব) রাশেদচৌধুরী ও ক্যাপ্টেন (অব) আবদুল মাজেদ বিদেশে পলাতক রয়েছে।
নিউজরুম