রুপসীবাংলা অর্থনীতি ডেস্ক: হলমার্কের ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় ‘নন ফান্ডেড’ ঋণের কারসাজির বিষয়ে জনতা ব্যাংকের আরও সাত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)হাজির হয়েছেন।
বেলা সাড়ে এগারটায় জনতা ব্যাংকের লোকাল শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মুসতাক আহমেদ খানকে জিজ্ঞাসাবাদের মধ্য দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ প্রক্রিয়া শুরু হয়।
দুদকের জ্যেষ্ঠ উপ-পরিচালক মীর জয়নাল আবেদীন শিবলী ও আবদুল্লাহ আল জাহিদের নেতৃত্বে একটি তদন্ত টিম তাদের জবানবন্দি নেন।
জনতা ব্যাংকের লোকাল শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মুসতাক আহমেদ খান ছাড়াও সোমবার জনতা ব্যাংকের যাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে তারা হলেন- কর্পোরেট শাখার এজিএম আব্দুস সালাম, ডিজিএম এস এম আবু হেনা মোস্তাফা। রমনা কর্পোরেট শাখার ডিজিএম মিজানুর রহমান, এজিএম কাজী রইস উদ্দিন আহমেদ। বৈদেশিক বাণিজ্য কর্পোরেট শাখার ডিজিএম শেখ হায়দার হোসেন এবং এজিএম মিজানুর রহমান।
সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দফায় দফায় সাত কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে দুদক জানায়।
গত রোববার এ কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে জনতা ব্যাংকের মতিঝিল লোকাল ব্রাঞ্চের জিএম আমিনুল ইসলাম, উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) জয়নাল আবেদীন, সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রুহুল আমিন খান, ব্যবস্থাপক (এক্সপোর্ট) আলাউদ্দিন আকন্দ, এক্সপোর্ট শাখার ইনচার্জ আবদুল গফুর, এলিফ্যান্ট রোড শাখার সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার আবুল কালাম আজাদ ও শাহবাগ শাখার এম এম শোয়েবুল কবিরের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেয় দুদক।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র বাংলানিউজকে জানায়, জিজ্ঞাসাবাদের সময় জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সামনে ঋণপত্র (এলসি) কাগজপত্র উপস্থাপন করা হয় এবং এতে তাদের করা সই সঠিক কিনা তা জানতে চাওয়া হয়। এতে তারা ‘সই করেছেন’ মর্মে স্বীকারোক্তি দেন।
তবে দুদকের তদন্ত টিমকে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই তারা সই করেছেন। সইয়ের কারণে দায়বদ্ধতা থাকলেও কারসাজির ঘটনায় তারা জড়িত নন বলে তারা দাবি করেন।
দুদক জানায়, জালিয়াতির মাধ্যমে হলমার্ক গ্রুপ প্রায় দুই হাজার ৭০০ কোটি টাকা নেয়। এর মধ্যে সরাসরি সোনালী ব্যাংক থেকে নেওয়া হয় প্রায় এক হাজার ৬০০ কোটি টাকা। সোনালী ব্যাংকের খোলা এলসি দেখিয়ে জনতা ব্যাংক থেকে বাকি টাকা নেওয়া হয় বলে তারা জানান।
নিউজরুম