রুপসীবাংলা,ঢাকা(১৯ নভেম্বর) :অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগেদুদকের দায়েরকৃত মামলা বাতিল আবেদন খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়েরবিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি পেয়েছেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও ড. খন্দকারমোশাররফ হোসেন।সোমবার প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদেশে আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে আপিলের সার-সংক্ষেপ জমা দিতে বলা হয়েছে।এরআগে হাইকোর্ট অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকেরদায়েরকৃত মামলা বাতিলে মওদুদ ও মোশাররফের আবেদন খারিজ করে দেন।
এদিকেআপিলের অনুমতি পাওয়ায় বিচারিক আদালতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত থাকবে বলেজানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।আদালতেআবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক ও অ্যাডভোকেট আহসানুল করীম।অন্যদিকে সরকার পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
হাইকোর্টসূত্র জানায়, জরুরি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৯ সেপ্টেম্বরদুদকের উপ-সহকারী পরিচালক শরীফুল হক সিদ্দিকী গুলশান থানায় এ মামলা দায়েরকরেন।এর আগে একই বছরের ৩ জুলাই সম্পদ ও আয়ের বিবরণী চেয়ে ব্যারিস্টার মওদুদ-কে চিঠি দেয় দুদক।
মামলায়অভিযোগ করা হয়, “মওদুদ আহমদ চার কোটি ৪০ লাখ ৩৭ হাজার ৩৭৫ টাকার তথ্য গোপনও সাত কোটি ৩৮ লাখ ৪৮ হাজার ২৮৭ টাকা জ্ঞাত আয়-বর্হিভূতভাবে অর্জনকরেছেন।”গত ২০০৮ সালের ১৪ মে এ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।এরপরব্যারিস্টার মওদুদ হাইকোর্টে মামলা বাতিলের আবেদন জানালে আদালত চলতি বছরের২৯ জানুয়ারি মামলার কার্যক্রমের ওপর ৬ মাসের স্থগিতাদেশ দেন এবং রুল জারিকরেন।
এ আদেশের স্থগিত চেয়ে দুদক আবেদন জানালে আপিল বিভাগের চেম্বারবিচারপতি স্থগিতাদেশ দেননি। পরে দুদক লিভ টু আপিল করলে ৫ আগস্ট আপিল বিভাগ এআবেদনের নিষ্পত্তি করে দেন এবং ৮ অক্টোবরের মধ্যে হাইকোর্টে মামলা বাতিলেরআবেদন নিষ্পত্তি করতে বলেন।পরে আপিল বিভাগের আদেশ অনুযায়ী হাইকোর্টে শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার পর ৭ অক্টোবর মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করে রায় দেওয়া হয়।
এরপরমওদুদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চেম্বার বিচারপতি মামলার কার্যক্রম স্থগিতকরে বিষয়টি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।এরপর দু দফা সময় বাড়িয়ে১৯নভেম্বর শুনানির দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ।
প্রসঙ্গ: ড. খন্দকার মোশাররফজোটসরকারের সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধেদুর্নীতি দমন কমিশন ২০০৮ সালের ১০ জানুয়ারি রমনা মডেল থানায় একটি মামলাদায়ের করে। মামলায় “জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ১২ কোটি টাকার সম্পদঅর্জন এবং ৩ কোটি টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের” অভিযোগ আনা হয়।এরপরহাইকোর্টের একটি বেঞ্চ দুর্নীতির মামলা বাতিলে ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেনেরআবেদন খারিজ করে দেন। এর বিরুদ্ধে খন্দকার মোশাররফ আপিল বিভাগের চেম্বারবিচারপতির কাছে আবেদন করেন। চেম্বার বিচারপতি বিষয়টি শুনানির জন্যপূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।
সোমবার আপিল বিভাগ মোশাররফ-কে আপিলের অনুমতিদেন।
নিউজরুম