রুপসীবাংলা, বরিশাল (১৯ নভেম্বর): কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে সাত শতাধিক তোরণনির্মাণ করা হয়েছে খালেদা জিয়ার অভ্যর্থনায়। বরিশালের জনসভায় প্রধান অতিথিখালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে তার প্রবেশপথে ফরিদপুর থেকে বরিশাল পর্যন্তনির্মিত হয়েছে সুসজ্জিত এ তোরণগুলি।
তোরণ নির্মাণে ব্যয়ের একটিআনুমানিক হিসেব দিয়েছে বিএনপি’র একটি সূত্র। তোরণগুলোর কোনো কোনোটি ২০হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত, আবার কোনো কোনোটির জন্য ব্যয় হয়েছে আট হাজারটাকা। এ হিসেবে আনুমানিক প্রায় কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে তোরণ নির্মাণেরপেছনেই।এগুলোর গায়ে শোভা পাচ্ছে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব তারেক রহমানের ছবি সম্বলিতপোস্টার। এসব পোস্টারে জুড়ে দেয়া হয়েছে দলের অন্যান্য নেতাদের ছবিও। মনোনয়নপ্রত্যাশীদের ছবিসম্বলিত পোস্টারের রয়েছে উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি।
প্রতিটি তোরণে নানা রঙের কাপড় ও কিছু তোরণ মরিচ বাতির আলো দিয়ে সাজানো হয়েছে।শুধুতোরণই নয়, নগরীর কয়েকটি রাস্তায় চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা করা হয়েছে। রাস্তাসংলগ্ন গাছ, অনেক দোকান ও বাড়িতেও করা হয়েছে আলোকসজ্জা।
সদর রোড, বগুড়া রোড, বাংলাবাজারসহ বিভিন্ন ব্যস্ত রাস্তায় মাইকে প্রচারণা চালানোহচ্ছে গত কয়েকদিন ধরে। রোববার সমাবেশের আগের দিন কিছুক্ষণ পরপর ছোট ছোটমিছিল নামে নগরীর রাস্তায়। মোটর সাইকেল নিয়ে ৠালিও বের হয় একের পর এক।
জনসভাস্থলেরআশপাশে ১৬০টি মাইক বসানো হয়েছে। দলের সমর্থকদের উৎসাহ বাড়াতে সেসব মাইকেবাজানো হচ্ছে দলীয় সংগীত। সরকারের সমালোচনা এবং বিএনপির বিভিন্ন উন্নয়নমূলককর্মকাণ্ডের বর্ণনার পাশাপাশি দেশাত্মবোধক গানও বাজছে এ সব মাইকে।
এদিকেরোববার রাতেও ঘন ঘন মঞ্চ ও মাঠ পরিদর্শন করছেন সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকানেতারাসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা। জেলা বিএনপির সভাপতি আহসান হাবীব কামালজানান, ‘স্থায়ী মঞ্চে খালেদা বসবেন আরো ৪০ জন নেতাকে সঙ্গে নিয়ে। আর সামনেইতৈরী করা দ্বিতীয় মঞ্চে বসবেন অন্য নেতারা’।এদিকে খালেদা জিয়ারআগমন উপলক্ষ্যে তৈরি হওয়া বিএনপি নেতাকর্মীদের চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে নগরীরসাধারণ নাগরিকদের মাঝেও। বিকেল থেকেই নগরীর অনেক মানুষই জড়ো হতে থাকে বেলসপার্কে। উৎসবমুখর পরিবেশে অনেকেই এসেছেন বেড়ানোর মেজাজে। বাদাম, কদবেল, ফুচকা, চটপটি, চা, আচারসহ নানা মুখরোচক খাবারও বিক্রি হচ্ছে জমিয়ে।খালেদা জিয়ার ভাষণের সময় যত ঘনিয়ে আসছে, দলের সমর্থকদের আনন্দ আর উচ্ছাসও যেন ততোই বাড়ছে।
নিউজরুম