দেশের বাজার ভরে গেছে ভেজাল ও নকল কীটনাশকে। অন্যতম এ কৃষি উপকরণটি কিনে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে কৃষকরা। পাশাপাশি কমে যাচ্ছে কৃষি উৎপাদন।দেশের সীমান্ত এলাকাগুলোতে প্রকাশ্যেই বিক্রি হচ্ছে ভারতীয় ভেজাল কীটনাশক।তাছাড়া কীটনাশক উৎপাদনকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার নকল ব্র্যান্ডও বিক্রি হচ্ছে অবাধে। এতে শুধু যে
কৃষক ও কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে তা নয়, সরকারও বঞ্চিত হচ্ছে বিপুল রাজস্ব থেকে। মূলত বাজারে তুলনামূলকভাবে দাম কিছুটা কম হওয়ার কারণে নকল ও ভেজাল কীটনাশকের বাজার রমরমা।দীর্ঘদিন ধরেই প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ওই চক্রের সদস্যরা নকল ও ভেজাল কীটনাশকের অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে আসছে। অনেকে খুলে বেসেছেন নকল কীটনাশকের কারখানাও। এসব নকল ও ভেজাল কীটনাশক চেনার কোনো উপায় নেই। ফলে কৃষকরা নকল ও ভেজাল কীটনাশক ব্যবহার করলেও জমিতে পোকামাকড় ও বালাই দমনে তা কোনো কাজে আসছে না। বর্তমানে দেশে অনুমোদিত ১২টি ফরমুলেশন (দানা কীটনাশক উৎপাদন) কারখানা রয়েছে।
তবে এর বাইরে আরো কয়েকটি অবৈধ কারখানাও ভেজাল কীটনাশক তৈরি করার খবর পাওয়া গেছে। ইটের গুঁড়া ও পাথুরে বালি দিয়ে দানাদার কীটনাশক তৈরি করে তাতে তরল কীটনাশকের স্প্রে করা হয়। পরবর্তীতে তা বিক্রির জন্য প্যাকেটজাত করে অসাধু ডিলার ও ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে বাজারজাত করা হয়।দীর্ঘদিন ধরেই দেশজুড়ে এ অবস্থা চলতে থাকলেও অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জোরালো কোনো পদক্ষেপের উদ্যোগ নিচ্ছে না সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষ। বরং অভিযোগ রয়েছে, প্রশাসনের কর্তব্যক্তিদের ম্যানেজ করেই নকল কীটনাশক কারখানাগুলো দেশে ব্যবসা করছে। জনবহুল এদেশে খাদ্য চাহিদা মেটাতে দিন দিন বাড়ছে কৃষি চাষের পরিমাণ।
আর এর সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কীটনাশকের ব্যবহারও। এ সুযোগই কাজে লাগাচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। এ অনাচার রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া দরকার বলে আমরা মনে করি।