৫৫০ জন প্রবাসী শ্রমিককে আইনি সহায়তা দিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ান

0
247
Print Friendly, PDF & Email

রুপসীবাংলা, ঢাকা (১৮ নভেম্বর) :বছরে প্রায় ৫৫০ জন প্রবাসী শ্রমিককে আইনি সহায়তাদিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ান দূতাবাসমন্ত্রণালয়কে দেয়া এক চিঠিতে এ তথ্যজানিয়েছে দূতাবাসটিদূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) সৈয়দ নাসির এরশাদস্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, শ্রমিকদের বকেয়া বেতন, মালিকপক্ষেরদুর্ব্যববহার, কর্মস্থলের দুর্ঘটনা, অসুস্থতা, ওভারটাইম ঠিকমতো না পাওয়া, বীমা সুবিধা না পাওয়াসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা নিয়ে শ্রমিকরা প্রায়ইদূতাবাসে যোগাযোগ করেসেসময় তাদেরকে দূতাবাসের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তা

 

প্রতি মাসে ৪০ থেকে ৫০ জন হিসেবে বছরেপ্রায় ৫০০ থেকে ৫৫০ জন শ্রমিক বিভিন্নভাবে ফলপ্রসূ আইনি পরামর্শ নেয় বলে এচিঠিতে জানানো হয়চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেমালিকপক্ষ, জব সেন্টার কিংবা কোরিয়ান শ্রম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগেরমাধ্যমে অথবা কারখানা পরিদর্শন করে কোরিয়ান কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে সমস্যারসমাধান করা হয়

চিঠিতে আরো জানানো হয়, দক্ষিণ কোরিয়া দূতাবাসস্থবাংলাদেশ দূতাবাসের কোনো সেইফ হোম নেইএখানে আবাসস্থলের সমস্যাগ্রস্তআশ্রয়প্রার্থীরা সাধারণত সরকারি ও বেসরকারিভাবে পরিচালিত কোরিয়ার বিভিন্নমাইগ্রান্ট সেন্টারে আশ্রয় নেয়

আরো উল্লেখ করা হয় যে, ‘গভঃ টুগভঃমেকানিজমের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে কোরিয়াতে আসা শ্রমিকদের তার আসারদিন থেকে শুরু করে কোরিয়ায় অবস্থানকালীন পুরো সময়ে বাসস্থান ও খাওয়ারব্যাপারে মালিকরাই ব্যবস্থা করে থাকেন

মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়, বিদেশি শ্রমিকদের জন্য কোরিয়ান সরকার কর্তৃক পরিচালিত জব সেন্টারেরমাধ্যমেই কর্মস্থল পরিবর্তন করতে হয়যে কারণে বিদেশি শ্রমিকদের সেইফ হোমেঅবস্থান করার প্রয়োজন হয় নাতবে কর্মস্থল পরিবর্তনের বা কাজ খোঁজারক্ষেত্রে স্বল্পকালীন (দু-এক সপ্তাহের জন্য) তাদের সেফ হোমের প্রয়োজন হয়

এক্ষেত্রেশ্রমিকরা দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাদেরকে নিকটস্থ মাইগ্রেন্টসেন্টারের ঠিকানা ও ফোন নম্বরসহ তাদেরকে সেখানে পাঠায় দূতাবাসচাকরিপাওয়াক‍ালীন সময় পর্যন্ত সেখানে তারা অবস্থান করেএরপর চাকরি পাওয়ার সঙ্গেসঙ্গে সে স্থান ত্যাগ করে নতুন মালিকের আশ্রয়ে চলে যায়এজন্য কোরিয়ানদূতাবাসে সেইফ হোম না থাকলেও বিশেষ কোন অসুবিধা পোহাতে হয় না বলে চিঠিটিরমাধ্যমে মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়

 

এবিষয়ে বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রণালয়ের সচিব ড. জাফর আহমেদ খান বলেন, “প্রবাসীরাঅক্লান্ত পরিশ্রম করে দেশে রেমিটেন্স পাঠায়তাদের পরিশ্রমকে সম্মানজানাতে, তাদের সমস্যাগুলো দেখতে দূতাবাস সর্বদা প্রস্তুতসীমিত জনবল নিয়েওদূতাবাসগুলো প্রবাসী শ্রমিকদের নানা ধরনের সহায়তা করছেতবে দ্রুত এসবদূতাবাসে জনবল বাড়িয়ে শ্রমিকদের সমস্যা মোকাবেলার পথ আরো প্রশস্ত করা হবে

 

 

 

নিউজরুম

 

শেয়ার করুন