রুপসীবাংলা, ঢাকা (১৮ নভেম্বর) :যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের কিছু কর্মকর্তা জনমত যাচাইকরার নামে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস নিয়ে অপতৎপরতা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগকরেছেন অভিনেতা ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ সংগঠনের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন।
রোববার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে নিরাপদ সড়ক চাই আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন।
ইলিয়াসকাঞ্চন বলেন, “২২ অক্টোবর জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাবটিমন্ত্রিসভায় অনুমোদনের জন্য এ সংগঠনের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে দাবি জানানোহয়েছিল। সে মোতাবেক গত ২০১১ সালের ১২ ডিসেম্বর যোগাযোগ মন্ত্রণালয়েরসচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে২০০২ সালে তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সড়কনিরাপত্তা কাউন্সিলের ৮ম সভায় ২২ অক্টোবরকে নিরাপদ সড়ক দিবস পালনেরসিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।”
তিনি বলেন, “বর্তমান সরকারের সাবেকযোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন স্বাক্ষরিত এক পত্রে জাতীয় পর্যায়ে প্রতিবছর ২২ অক্টোবর নিরাপদ সড়ক পক্ষ পালনের জন্যও প্রধানমন্ত্রীর সম্মতির জন্যপাঠানো হয়েছিল।’’
কাঞ্চন বলেন, “গত ২০১১ সালের ৫ অক্টোবরপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে নীতিগত সম্মতিও দেন। প্রধানমন্ত্রীর নীতিগতসম্মতির পর ইস্যুকৃত এ সংক্রান্ত এক পত্রে দিবসটিকে খ ক্যাটাগরিতেঅন্তর্ভুক্ত করার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে বলা হয়।”
তিনি বলেন, “এরপরও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে ঘাপটি মেরে থাকা অপশক্তি প্রধানমন্ত্রীর নীতিগতসিদ্ধান্তকে পাশ কাটিয়ে জনমত যাচাইয়ের নামে কালক্ষেপণ করছে।”
ইলিয়াসকাঞ্চন বলেন, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এ ব্যাপারে জনমত জরিপ চলছে।এই জরিপেও নানা জটিলতা তৈরি করে জনগণকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগতুলে তিনি‘ষড়যন্ত্রকারীদের শাস্তির’ দাবি জানান।
তিনি বলেন, “দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে নিরাপদ সড়কের জন্য সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে ২২ অক্টোবর নিরাপদ সড়ক দিবস পালন করা হচ্ছে।”
সংবাদসম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক শামিমআলম, যুগ্ম সম্পাদক লায়ন গনি মিয়া বাবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদপ্রমুখ।
নিউজরুম