আনোয়ার হোসেন আলীরাজ/ রাফি, নিউজরুম
নাটোরের সিংড়া পৌরসভা যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৯ সালের ১০ জানুয়ারী। ১২টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এই পৌরসভার আয়তন সাড়ে ২২ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা প্রায় ৩২ হাজার। ১৯৯৯ সালের ২৩ অক্টোবর নির্বাচনে নম্র ও ভদ্র হিসেবে অধ্যাপক শামিম আল রাজি বিজয়ী হন।
নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সিংড়া পৌরসভাকে আধুনিক মডেল ও আদর্শ পৌরসভা হিসেবে গড়ে তুলেছেন তিনি। উন্নয়নের এই ধারা অব্যহত রাখতে বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সফর করছেন তিনি। ইতোমধ্যে নেপাল-ভারত ,মালয়েশিয়া ,জাপান,সিংগাপুরসহ প্রায় ১৫টি দেশ সফর করেছেন।নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে অবিরাম পরিশ্রম করছেন তিনি।
এছাড়া মিউনিসিপ্যাল এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ম্যাব) মহাসচিব এর দায়িত্ব পালন করে সিংড়া পৌরসভার মর্যাদা উজ্জল করছেন। বাংলাদেশের ৩১৫টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এর সদর দপ্তর বারিধারা ঢাকা।সুস্থধারার রাজনীতির পাশাপাশি ঈদ-পূজায় গরীব দুঃখী সাধারণ মানুষের পাশে দাড়িয়ে সকল ধর্মের মানুষের মণিকোঠায় স্থান করে নিয়েছেন অধ্যাপক শামিম আল রাজি।
রুসীবাংলা নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, গত ১৩ বছরে সিংড়া পৌরসভায় ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। আগামীতেও সিংড়া পৌরসভার সর্বোচ্চ নাগরিক সেবা নিশ্চিত এবং উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে চাই। যার ফলে ২০০৯ সালে সিংড়া পৌরসভা ১ম শ্রেণীর পৌরসভা হিসেবে মর্যাদা লাভ করে। অল্প সময়ে সিংড়া পৌরভবন নির্মাণ, আধুনিক কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ, উত্তরাঞ্চলে প্রথম শোলার সিষ্টেম বাস র্টার্মিনাল নির্মাণ করা হয়েছে।নলকূপ স্থাপন,পাবলিক টয়লেট নির্মান করা,গো-হাট স্থাপন এবং পৌর এলাকার রাসত্মা-ঘাট গুলোতে লাইটিং, পানি সরবরাহ, বিদ্যুতায়ন নিশ্চিত করা পাশাপাশি প্রায় ৩০টি মসজিদ, ৮টি মন্দির সহ বেশ কয়েকটি মাদ্রাসা, কবরস্থান, শ্মশানঘাট ও ঈদগাহমাঠ সংস্কার, আধুনিক কসাইখানা নির্মান করা হয়েছে।তিনি আরও বলেন, সিংড়া পৌরসভাকে আধুনিক পৌরসভা হিসেবে গড়ে তুলতে এবং নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে অবিরাম কাজ করছি।সিংড়া পৌরসভার সকল নাগরিকদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে আধুনিক ফোয়ারা ,৩টি পাম্প হাউজ নির্মানের মাধ্যমে নাগরিকদের বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে।
গত নির্বাচনে পৌরবাসীরা উন্নয়নসহ সব দিক বিবেচনা করে পূনরায় আমাকে নির্বাচিত করেছেন। তিনি বলেন,আগামী সংসদ নির্বাচনে দল আমাকে মনোনয়ন দিলে সিংড়া পৌরসভাকে যে ভাবে উন্নয়ন করেছি, ঠিক একই রকম উন্নয়ন করতে চাই পুরো উপজেলার।