রুপসীবাংলা, ঢাকা (১৪ নভেম্বর) :যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যাপারে আন্দোলন সংগ্রামকরে আওয়ামী লীগকে কেউ নার্ভাস করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেনপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তিনি বলেছেন, “আমরা আন্দোলন সংগ্রাম করেএসেছি। কেউ আন্দোলন করে নার্ভাস করে দেবে তা হবে না।
আমরা যুদ্ধাপরাধীদেরবিচার করেই ছাড়বো।”বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকটি নবনির্মিতস্থাপনা উদ্বোধন ও নির্মীয়মান স্থাপনার ভিস্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর নবাবনওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দেওয়া প্রধান অতিথিরবক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।তিনি বলেন, “এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাযারা আমাকে শিক্ষা দিয়েছিলেন সেই মনির চৌধুরী, সন্তোষ চন্দ্রভাট্টাচার্যসহ অনেক শিক্ষককে পাকিস্তানি ও তার দোসররা হত্যা করেছিলো।বিশ্বববিদ্যালয়ের বহু ছাত্রকে হত্যা করেছিলো। তাদের বিচার করা আমারদায়িত্ব।”
বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন প্রধানমন্ত্রী।প্রথমে তিনি কবি সুফিয়া কামাল হল উদ্বোধন করেন। এর পর চতুর্থ শ্রেণিরকর্মচারীদের আবাসন বঙ্গবন্ধু টাওয়ার উদ্বোধন করে সিনেট ভবনে আসেন।এ সময় রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে হাজার হাজার ছাত্রলীগ নেতাকর্মী প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এর সভাপতিত্বেঅনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান একে আজাদ চৌধুরী, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) নাসরিন আহমেদ, উপ-উপাচার্য(প্রশাসন) শহীদ আক্তার হোসেন প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রীবলেন, “১৯৯৬ সালে যখন ক্ষমতায় আসি তখন দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোরউদ্যোগ নিই। উচ্চশিক্ষার জন্য আমরা বরাদ্দ বাড়িয়েছি। বাড়িতে থেকেশিক্ষার্থীরা যেন পড়াশোনার সুযোগ পায় সেজন্য এলাকাভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয়করার উদ্যোগ নিয়েছি।”তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্যবেসরকারি পর্যায়ে উদ্যোগ প্রয়োজন। আমরা একে স্বাগত জানাই। এজন্যবিশ্ববিদ্যালয়ের এলামনাইদেরও এগিযে আসা উচিত। এলামনাইয়ের অনুষ্ঠান বলতেকেবল খাওয়া দাওয়া ও সাংস্কৃতিক আয়োজন নয়, যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেএসেছি সে বিশ্ববিদ্যালয়কে কতোটুকু দিতে পারলাম সেদিকে এলামনাইদের লক্ষ রাখাউচিত।”
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, “জাতির পিতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরছাত্র ছিলেন। চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের দাবির আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে তিনিবিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ২০১১ সালেতার ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দিয়েছে এজন্য সিন্ডিকেটকে ধন্যবাদ।”
শেখ হাসিনাবলেন, “আমার ভাই শেখ কামাল এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তার স্ত্রী সুলতানাকামাল এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। আমি নিজেও এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী।বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নিয়েছি। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডেঅংশ নিতে পেরে আমার ভালো লাগছে। আমি অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকার্যক্রমেও কাজ করছি। তবে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আমার বিশেষ দুর্বলতাকিছুটা থাকবেই।”
নিউজরুম