রুপসীবাংলা, ঢাকা (১১ নভেম্বর) :সরকারের অনুমতি না নিয়ে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দায়েরকরা দুই মামলায় অভিযোগ আমলে নেওয়ার বিষয়ে জানতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজজহুরুল হককে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ২৬ নভেম্বর আদালতে হাজির হয়ে তাকে এবিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমও বিচারপতি মো: আকরাম হোসেন চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশদেন। এ ছাড়াও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি না নিয়ে তদন্ত করায় ওই দুইমামলার তদন্ত কর্মকর্তাকেও একই দিন হাজির হয়ে এ বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।দুই তদন্ত কর্মকর্তা হচ্ছেন শেরেবাংলা নগর থানার এসআই নজরুল ইসলাম ওমোহাম্মদপুর থানার এসআই কামরুজ্জামান বিশ্বাস।
আদালত সূত্র জানায়, চলতি বছরের ২৪ জুন মোহাম্মদপুর থানা এবং ১১ জুন শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশহিজবুত তাহরির কর্মীদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দু’টি মামলা দায়েরকরেন।ওই দু’টি মামলায় তদন্ত করে তদন্ত কর্মকর্তারা চার্জশিট দেবারপর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জহুরুল হকের আদালত ২০ সেপ্টেম্বর শেরেবাংলা নগরথানার মামলায় এবং ৪ অক্টোবর মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা মামলার অভিযোগআমলে নেন।
এর পর এ দুই মামলার আসামি সদস্য নূর মোহাম্মদ খোকা ওশাফায়েত জামিল সোহাগ ৩ নভেম্বর এবং আরিফুল ইসলাম ও আরিফুল করিম ১৮ অক্টোবরজামিনের জন্য হাইকোর্টে নিয়মিত আবেদন করেন। এ আবেদনের শুনানির এক পর্যায়েসোমবার হাইকোর্ট এ আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী কুমার দেবুলদে।তিনি জানান, সন্ত্রাস বিরোধী আইন’২০০৯ এর ৪০(১)ধারায় আছে, জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পূর্বানুমোদন ব্যতিরকে কোনো পুলিশকর্মকর্তা এ আইনের অধীন কোনো অপরাধের তদন্ত করিতে পারিবেন না। ৪০(২) ধারায়আছে, সরকারের পূর্বানুমোদন ব্যতিরকে কোনো আদালত এ আইনের অধীন কোনো অপরাধবিচারার্থে আমলে গ্রহণ করিবেন না।
কুমার দেবুল দে জানান, জেলাম্যাজিস্ট্রেটের অনুমোদন ছাড়াই দুই তদন্ত কর্মকর্তা মামলা দু’টির তদন্তকরেছেন এবং সরকারের অনুমোদন ছাড়াই অভিযোগ আমলে নিয়েছেন ঢাকা মহানগর দায়রাজজ জহুরুল হক। তাই হাইকোর্ট তাদেরকে তলব করেছেন। এছাড়া আসামিদের কেন জামিনদেওয়া হবে না, সে বিষয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোশাররফ হোসেন সরদার।
নিউজরুম