রুপসীবাংলা, রাজশাহী (১২ নভেম্বর): রাজশাহী মহানগরীতে শিবির প্রতিরোধে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) প্রায় ১ হাজার সদস্য।পুলিশসদস্যরা গ্রেফতার অভিযান, গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে টহল, দায়িত্বরত পুলিশেরবিশেষ সময়ে সাপোর্ট দেওয়াসহ থানা থেকে কোর্ট ও কারাগারে শিবির ক্যাডারদেরআনা নেওয়ার কাজ করছেন। এছাড়া নগর জুড়েই ইমা গাড়িতে করে একজন সাবইন্সপেক্টরের (এসআই) নেতৃত্বে ১০ জন করে পুলিশ সদস্য টহল দিচ্ছে।
নগরীরবিশেষ বিশেষ জায়গায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে, যারা সার্বক্ষণিক সতর্কাবস্থায়রয়েছেন। পুলিশের পাশাপাশি র্যাব সদস্যরাও কাজ করছে। এছাড়া সাদা পোশাকেগোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা (ডিবি) শিবিরের কর্মকাণ্ড মনিটরিং করছে।
গত শনিবার পুনরায় পুলিশের উপর শিবির ক্যাডারদের হামলার ঘটনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
রাজশাহীমহানগর পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কমিশনার এসএম মনির-উজ -জামান জানান, দুই শিফটে প্রায় ১ হাজার পুলিশ সদস্য মহানগরীর ৪টি থানার ৩০টিওয়ার্ডে রাত দিন কাজ করছে। এছাড়া মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সর্বত্র ছড়িয়েছিটিয়ে রয়েছে।
মহানগর পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবারপুলিশের রাইফেল কেড়ে নিয়ে শিবির ক্যাডারদের পুলিশের উপর হামলার পর থেকেনগরীতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। প্রায় ১ হাজার পুলিশ সদস্য রাতদিন কাজ করছেন।
গত শনিবার নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে বার বারশিবিরের মিছিল ও হামলার ঘটনায় পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে চার থানার ওসিদেরনিয়ে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর দফতরে দফায় দফায় মিটিং করছেন পলিশেরউর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছেন উপ-পুলিশ কমিশনার সদর আব্দুল মান্নান। কোনো কোনো সময় খোদ পুলিশ কমিশনার নিজেই অভিযানে নেমে পড়ছেন।
সূত্রমতে, শনিবার হামলার ঘটনার পর নগরীর নিরাপত্তা আরো বাড়ানো হয়েছে। ভোর ৬টাথেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মহানগরীর সাহেব বাজার, সোনাদিঘির মোড়, লক্ষীপুর মোড়, সিঅ্যান্ডবির মোড়, কোর্টচত্বর, বহরমপুর বাইপাস, রেলওয়ে ও বাস টার্মিনালমোড়, ভদ্র স্মৃতি অম্লান মোড়, তালাইমারি, বিনোদপুর, কাটাখালি পয়েন্টে একজনপুলিশ সার্জেন্টের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি করে টিম গাড়ি তল্লাশি করছে।সন্দেহভাজন ও রেজিস্ট্রেশন বিহীন মোটরসাইকেল আটক করে পুলিশ লাইনে পাঠাচ্ছে।
এছাড়া মহানগরীর নওদাপাড়া বাইপাস প্রবেশ মুখে পুলিশের অস্থায়ীক্যাম্প বসিয়েছে শাহমুখদুম থানা পুলিশ। র্যাবের ৪টি পেট্রোল কারসার্বক্ষণিকভাবে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক টহল দিচ্ছে।
মহানগরীরবোয়ালিয়া মডেল থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার রোকনুজ্জামান বলেন, “বোয়ালিয়া ওরাজপাড়া মিলে বোয়ালিয়া জোন হওয়ায় এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়াহয়েছে। আমি নিজেও সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি।”
মহানগর পুলিশেরভারপ্রাপ্ত কমিশনার এস এম মনির-উজ-জামান বলেন, “শিবিরের নাশকতাঠেকাতে রাজশাহী মহানগর পুলিশ সার্বক্ষণিক কাজ করছে। প্রায় ১ হাজার পুলিশসদস্য রাত দিন কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় জড়িতআসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”এদিকে র্যাব-৫ এর একটিসূত্র জানিয়েছে, যে কোনো নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঠেকাতে র্যাব সতর্কাবস্থায়রয়েছে।
নিউজরুম