মোফাজ্জল হোসেন, নওগাঁ (১১ নভেম্বর) : দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে নওগাঁ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক জেড এইচ খান মানিক, সাবেক সাধারন সম্পাদক ফরিদুজ্জামান ফরিদ ও শহর যুবদলের সাধারন সম্পাদক মহসীনসহ ছাত্রদল ও যুবদলের ১২জন নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব মোঃ রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত সুত্র নং-বিএনপি/সাধারন/৭৬/১৩৯/২০১২ স্মারকে ৫ অক্টোবর তারিখের এক পত্রের মাধ্যমে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে নওগাঁয় এ খবর ছড়িয়ে পড়লেও রাতে ফ্যাস্ক মাধ্যমে বহিস্কারের কপি পাওয়া যায়। শুক্রবার টক অব দা টাউনে পরিনত হয়েছে। শনিবার বিকেল ৪টার দিকে নওগাঁ জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বহিষ্ককৃত নেতাকর্মীরা হলেনঃ শহর যুবদলের সাধারন সম্পাদক মহসীন আলী, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক ফরিদুজ্জামান ফরিদ, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক জেড এইচ খান মানিক, সরকারী কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি অপু, ছাত্রদল নেতা মাহমুদ, সবুজ, সোহেল, ডাবলু, অরুন, বাঘা ও লিটন। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও উলেখ করা হয়, যেহেতু দলের কোন পর্যায়ের কমিটিতে তাদের কোন পদপদবী নেই, সেহেতু সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা যাচ্ছে না। কিন্তু তারা দলীয় কর্মকান্ডে অংশ নিতে পারবে না এবং পরবর্তীতে দলের কোন পর্যায়ের কমিটিতে তাদের নাম অর্মতভূক্ত করা যাবে না।
এদিকে, ৪ নভেম্বর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রহমান রিপনসহ ৬ জন বিএনপির নেতা কর্মীকে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বহিস্কার করা হয়েছে। তারা হলেনঃ নওগাঁ সদর উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক সমআ আল কাফী তুহিন, সদস্য দেওয়ান মোস্তাক আহমেদ রাজা, পৌর বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক বিপু, জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক খায়রুল আলম গোল্ডেন, যুগ্ম আহবায়ক নিপু। বিএনপির গঠনতন্ত্রের ৫(গ) ধারা মোতাবেক ওই নেতাদের দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উলেখ করা হয়। একই সঙ্গে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি (১) নওগাঁ পৌর মেয়র নজমূল হক সনিকে দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কার্যকলাপ তথা উষ্কানি ও মদদদানের অভিযোগে সতর্ক করা হয়েছে।
উলেখ্য, নওগাঁ জেলা বিএনপির কমিটির বিরোধের জের ধরে গত ১২ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে বেগম খালেদা জিয়ার ৪র্থ কারামুক্তি দিবসের আলোচনা সভা চলাকালীন সময়ে সভায় হামলায় জেলা বিএনপির সভাপতি সামসুজ্জোহা খান সহ ১২ জন নেতাকর্মী আহত হন। আহতদের মধ্যে জেলা বিএনপির সভাপতি সামসুজ্জোহা খানের মাথায় গুরুতর আঘাত হওয়ায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।
সম্পাদনা, আলীরাজ/ রাফি, নিউজরুম