জমা হয়নি দেড় হাজার কোটি টাকার এলসি বিল অব এন্ট্রি

0
296
Print Friendly, PDF & Email

রুপসীবাংলা (অর্থনীতি ডেস্ক, ১০ নভেম্বর): এলসি খোলার চারমাসের মধ্যে পণ্য দেশে এসেছে তারনিশ্চয়তা স্বরূপ বিল অফ এন্ট্রি জমা দেওয়ার কথা থাকলেও চলতি বছরের জুন মাসপর্যন্ত ৩ হাজার ৮৬৮টি বিলের বিপরীতে অপরিশোধিত বিল অব এট্রির পরিমাণদাঁড়িয়েছে প্রায় ১হাজার ৬শকোটি টাকা

 

 
বাংলাদেশ ব্যাংকে বিল অফএন্টি জমা দেওয়ার দায়িত্ব থাকে তফসিলি ব্যাংকগুলোর ওপরআর তফসিলি ব্যাংকগুলোতে এটি দেয় আমদানিকারকরাকারণ আমদানিকারকরা এলসি খোলেন তফসিলিব্যাংকগুলোতেবাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জুন মাস পর্যন্তএমন বিল অফ এন্ট্রি জমা না দেওয়ার শীর্ষে রয়েছে সোনালী ব্যাংক, রূপালীব্যাংক ও স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংকসোনালী ব্যাংকের ৪৮২ টি বিলেরবিপরীতে প্রায় ৫৯৩ কোটি টাকা, রূপালী ব্যাংকের ১৭০টি বিলের বিপরীতে ২১৩কোটি টাকা, স্ট্যান্ডার্ড চার্টাড ব্যাংকের ২১৭টি বিলের বিপরীতে প্রায় ১১৩কোটি টাকা মূল্যের বিল অব এন্ট্রি বকেয়া আছে একইভাবে জনতাব্যাংকের ২১৫টি বিলের বিপরীতে প্রায় ৫৬ কোটি টাকা, ন্যাশনাল ব্যাংকের ১৯৫টি বিলেরে বিপরীতে প্রায় ৫৬ কোটি টাকা, ব্রাক ব্যাংকের ৩৫টি বিলের বিপরীতেপ্রায় ৪৬ কোটি টাকা, অগ্রণী ব্যাংকের ১৫৫টি বিল বিপরীতে আছে প্রায় ৪১ কোটিটাকা, পূবালী ব্যাংকের আটকে আছে ৪২৪টি বিলের বিপরীতে প্রায় ৪০ কোটি টাকাআটকে আছেতবে হাবিব ব্যাংক লিমিটেড ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের কোনোবিল অফ এট্রি বকেয়া নেই বলে জানা গেছেএলসি সংক্রান্ত বাংলাদেশব্যাংকের এক প্রজ্ঞাপনে স্পষ্ট ভাষায় বলা আছে যে, নির্দিষ্ট সময়ে যদি কোনোআমদানিকারক এলসির বিল অব এন্ট্রি জমা দিতে ব্যর্থ হয় তাহলে তাকে পরবর্তীতেঋণপত্র খোলা থেকে বিরত রাখা হবেএগুলো অনুমাদিত ডিলারদের ত্রৈমাসিক বিবরণীথেকে বাংলাদেশ ব্যাংক সনাক্ত করবেএ প্রজ্ঞাপনের পরও অনেক ব্যাংকই নানাফাঁক ফোকরের মাধ্যমে অনেকে আমদানিকারককে নির্দিষ্ট সময়ে বিল অফ এন্ট্রি জমানা দিলেও এলসি খোলার অনুমতি দিচ্ছে বলে অভিযোগ আছে।  

এ বিষয়েবাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, এ বিলসংগ্রহের দায়িত্ব তফসিলি ব্যাংকগুলোরবিষয়টি তারাই ভালো বলতে পারেতাছাড়াবাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শনে এ  সংক্রান্ত কোনো অনিয়ম পাওয়া গেলে তখন আমরাব্যবস্থা নিবোএক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবে বাংলাদেশব্যাংকনাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তাজানান, যারা নির্দিষ্ট সময়ে বিল অফ এন্ট্রি জমা দেয়নি তারাও নানাভাবেপুনরায় এলসি খুলছেতাছাড়া বিল অফ এন্ট্রি জমা না হওয়ার কয়েকটি কারণেরমধ্যে একটি হতে পারে এলসি পেমেন্ট হলেও পণ্য আনা হয়নি বা বন্দর থেকে পণ্যছাড়ানো হয়নি বা শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার জন্য অনেক সময় অসাধু ব্যবসায়ীরা নানাদুর্নীতির মাধ্যমে পণ্য বন্দর থেকে বের করে আনে

 

কেন্দ্রীয়ব্যাংকের সর্বোচ্চ বিল অফ এন্ট্রি  পাওয়া আছে সোনালী ব্যাংকের কাছেবিষয়ে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রদীপ কুমার দত্তের সঙ্গেযোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি

 

 

 

নিউজরুম

 

শেয়ার করুন