রুপসীবাংলা (আন্তর্জাতিক ডেস্ক,১০ নভেম্বর): বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের কথা স্বীকার করে পদত্যাগ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (সিআইএ) প্রধান ডেভিড পেট্রাউস। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউজে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে দেখা করে নিজের পদত্যাগ পত্র জমা দেন তিনি।শুক্রবার প্রেসিডেন্ট তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন বলে জানিয়েছে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে বারাক ওবামার দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হওয়ার তিনদিন পরেই কেলেঙ্কারির দায় মাথায় নিয়ে সিআইএ প্রধানের পদত্যাগের এ ঘটনা ঘটলো।নিজের আচরণের জন্য অনুতপ্ত হওয়ার কথা প্রকাশ করে দেওয়া বিবৃতিতে ডেভিড পেট্রাউস জানান, তিনি প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন। বিবৃতিতে নিজের আচরণকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ হিসেবেও উল্লেখ করেন তিনি।এ সময় সাবেক এ চার তারকা জেনারেল নিজের কৃতকর্মের জন্য অনুতাপ প্রকাশ করে বলেন, ‘‘বিয়ের ৩৭ বছর পর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে চরম বোকামির পরিচয় দিয়েছি আমি’’।একজন স্বামী এবং সিআইএর মত সংস্থার প্রধান হিসেবে তার এমন আচরণ একদমই অপ্রত্যাশিত ছিলো বলে বিবৃতিতে স্বীকার করেন তিনি। তিনি বলেন, “প্রেসিডেন্ট সহানুভূতির সঙ্গে আমার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন।’’
এদিকে পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করে এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট ওবামা সিআইএ ও মার্কিন সামরিক বাহিনীতে ডেভিড পেট্রাউসের পালন করা দায়িত্বের কথা স্মরণ করে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রকে কয়েক দশক ধরে অসামান্য সেবা দিয়ে গেছেন ডেভিড পেট্রাউস। নিজের দায়িত্বপালনকালে পেট্রাউস আমাদের দেশকে নিরাপদ ও শক্তিশালী করেছেন।’’পেট্রাউসের পদত্যাগের ঘোষণার পরপরই চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় ওয়াশিংটনসহ দেশটির সংশ্লিষ্ট সব মহলে। পদত্যাগের ঘোষণার পরপরই সংবাদমাধ্যমে ছাপা হয় তার জীবনী লেখক পাউলা ব্রডওয়েলের সঙ্গে পেট্রাউসের গোপন সম্পর্কের বিষয়টি।ডেভিড পেট্রাউসের অবৈধ সম্পর্কের বিষয়টি এখন এফবিআইয়ের তদন্তাধীনে রয়েছে বলেও সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পায়।ব্রডওয়েল হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন। পাশাপাশি তিনি লন্ডনের কিংস কলেজে পিএইচডিও করছেন বলে জানা গেছে।
২০১১ সালে আফগানিস্তানে দায়িত্বপালনের সময়েই ব্রডওয়েলের সঙ্গে অবৈধ প্রণয়ে জড়িয়ে পড়েন পেট্রাউস। অবশ্য ওই বছরই সিআইএ প্রধান হিসেবে নিয়োগ পান পেত্রাউস। এর আগে ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধে মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনীকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি।৯/১১ পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম সফল শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা হিসেবে বিবেচনা করা হয় পেট্রাউসকে। ইরাক ‘অভিযান’-এ নেতৃত্বদানে বিশেষ ভূমিকা পালন ও আফগানিস্তানে কার্যকর সন্ত্রাসবিরোধী কৌশল বাস্তবায়নের জন্য প্রশংসিত হন তিনি।
নিউজরুম