রুপসীবাংলা, ঢাকা ৯ নভেম্বর :সরকারের ২৮টি ক্যাডার সার্ভিস বিলুপ্তির পক্ষে মত দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
বৃহস্পতিবারপরিকল্পনা কমিশন বিভাগের দারিদ্র বিশ্লেষণ ও পরিবীক্ষণ অণুবিভাগ আয়োজিত “ষষ্ঠ-পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০১১-১৫) বাস্তবায়ন-পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন’ সম্পকির্ত জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির সভায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত একথা বলেন ।তিনি জানান, ২৮টি ক্যাডার না রেখে এদের ৩-৪টি গ্রুপেভাগ করা হবে। কারণ এসব একাধিক ক্যাডার সরকারের কার্যক্রম পরিচালনারক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করছে। সচিবালয় কেন্দ্রিক কর্মকর্তাদের ক্যাডারসার্ভিসের বাইরে রাখা হবে।
বিদ্যমান ক্যাডার সার্ভিস বাতিল প্রসঙ্গেঅর্থমন্ত্রী বলেন, “এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আমারআলোচনা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নীতিগত সম্মতি দিয়েছেন। এক মাসের মধ্যে আমরা এবিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারবো।”“এমপিওভুক্তির কারণে মাধ্যমিকশিক্ষা ধ্বংস হচ্ছে।
এর ফলে বছরের পর বছর সরকারের কোটি কোটি টাকা নষ্টহচ্ছে। এর পরিবর্তে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরকারের পক্ষ থেকে অনুদানদেওয়া যেতে পারে” যোগ করেন মুহিত।পরিকল্পনা মন্ত্রী এয়ার ভাইসমার্শাল এ কে খন্দকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির সভায়অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. এস এসসামাদ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের আরস্ত খাঁন, পানি সম্পদ সচিব শেখ আলতাফআলী প্রমুখ।সভায় বলা হয়, ৬ষ্ঠ পঞ্চ-বার্ষিক পরিকল্পনায় দারিদ্রেরহার অনেক কমেছে।
কিন্তু মূল্যস্ফীতির চাপ বেড়েছে। ২০১১অর্থবছরেরমূল্যস্ফীতির হার ছিল ৮ দশমিক ৫ শতাংশ। ২০১২ অর্থবছরের এটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে১০ দশমিক ৬ শতাংশ।৬ষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ৯টি বিষয়বস্তুকে২টি বড় ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এ দুটি হচ্ছে- সামষ্টিক অর্থনৈতিক দক্ষতা ও খাতভিত্তিক দক্ষতা।
আলোচনাসভায় বলা হয়, মন্দার কারণে ২০১২ অর্থবছরে রপ্তানি আয় অনেক কমেছে, তবে রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে।সভায়বিনিয়োগ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে বলা হয়, ২০১১ অর্থবছরে বিনিয়োগেরলক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৫.৯ ভাগ। এর বিপরিতে ২৪ দশমিক ৭ ভাগ অর্জিত হয়েছিল।
কিন্তু ২০১২ অর্থবছরে বিনিয়োগের পরিমান আরো কমেছে । ২৬ দশমিক ৮ ভাগলক্ষ্যমাত্রার বিপরিতে মাত্র ২৫ দশমিক ৯ ভাগ অর্জিত হয়েছে।
নিউজরুম