রুপসীবাংলা, রাজশাহী ৮ নভেম্বর :<br>রাজশাহী মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রচাঞ্চল্যকর নাদিমুজ্জামান সাদ হত্যা মামলার রায়ে অভিযুক্ত তিন বন্ধুর ফাঁসিও ১ জনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া অপরবন্ধু রাশেদুল ইসলাম বিপু ও ইশরা হক ঐশির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত নাহওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।<br>
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরাহচ্ছে- সাদের বাল্যবন্ধু আল-আওয়াল কোয়েল (২০), সুইট রেজা (২১) ও মাসুদ আলীশাওন (১৯)। এছাড়া অপরবন্ধু কায়সার আহমেদ অনীককে (২০) যাবজ্জীবন সশ্রমকারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ফাঁসি ও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেকআসামিকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়াহয়েছে।বৃহস্পতিবার দুপুর পৌণে ১টায় রাজশাহী জেলা ও দায়রা জজ হোসেনশহীদ আহমেদ এক জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন। এসময় দণ্ডপ্রাপ্তআসামিরা আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিল। রায় ঘোষণার পর তাদের রাজশাহীকেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যায় পুলিশ।<br>
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানাযায়, গত ১৭ জানুয়ারি সাদকে বাড়ি থেকে পিকনিকের কথা বলে অপহরণ করা হয়। ২৪জানুয়ারি সন্দেহজনকভাবে ৩ বন্ধু শাওন, অনীক এবং বিপুকে আটকের পর তাদেরদেওয়া তথ্য মতে ২৫ জানুয়ারি বিকেলে মহানগরের শিরোইল মঠপুকুর এলাকার মাহমুদাবেগমের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে সাদের অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার হয়।ওইবাড়ির নিচতলার একটি কক্ষে সাদকে হত্যা করা হয়েছিল। পরে এ তিন জনের দেওয়াতথ্য এবং মোবাইল ফোন কলের সূত্র ধরে অন্য ৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।<br>
এরআগে গত ২০ মে চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল করা হয়। চার্জশিটেতদন্ত কর্মকর্তা মহানগরের রাজপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) একেএম আলমগীরজাহান সাদের ৫ বন্ধুসহ ৬ জনকে অভিযুক্ত করেন। ১৫ জুলাই থেকে ১২ সেপ্টেম্বরপর্যন্ত আদালতে মোট ২৭ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। মোট ১২০ কার্যদিবসেআসামিদের বিরুদ্ধে সন্দেহাতীতভাবে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায়বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের বিচারক এ রায় ঘোষণা করেন।<br>
এদিকে, রায়ঘোষণার পর আদালত চত্ত্বরে নিহত সাদের পিতা আমিনুল ইসলাম এতে সন্তোষ প্রকাশকরেন। তবে অনীকের যাবজ্জীবন সাজা হওয়ায় তাকেও ফাঁসির দণ্ড প্রদানের জন্য এব্যাপারে আদালতে আইনি লড়াই চালিয়ে যাবেন বলে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।রাষ্ট্রপক্ষেমামলাটি পরিচালনা করেন আদালতের অতিরিক্ত পিপি এসএম রেজাউল ইসলাম। আসামিপক্ষে ছিলেন, অ্যাডভোকেট কামরুল মনির ও সুশান্ত প্রমুখ।<br>
নিউজরুম