নওগাঁ প্রতিবেদক,০৪অক্টোবর:
নিয়ামতপুরে সালিশ বৈঠকে মারপিটের শিকার সুলতানা পারভীন (৩০) নামে ছয়মাসের অনত্ম:সত্তা এক গৃহবধূর গর্ভপাত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে৷ মুমূষর্ু ওই গৃহবধূ মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নঙ্ েচিকিত্সাধীন রয়েছেন৷ ঘটনাটি ঘটেছে নিয়ামতপুর উপজেলার ভাবিচা ইউনিয়নের চকদেউলিয়া গ্রামে৷ এঘটনায় ৭জনের বিরম্নদ্ধে নিয়ামতপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে৷ ওই গৃহবধূর স্বামী ছলিম উদ্দিন রূপসীবাংলা নিউজকে জানান, পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে বাবা ছইবর আলী স্থানীয় ইউপি সদস্য আলেফ আলী মন্ডলের নিকট মৌখিক অভিযোগ দেন৷ বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য গত ২৬ সেপ্টেম্বর গ্রামের কায়কোবাদের আম বাগানে একটি সালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হয়৷ ইউপি সদস্য আলেফ মন্ডলের সভাপতিত্বে বৈঠকে রফিকুল ইসলাম, আশরাফুল ইসলাস, মতিউর রহমান, জাহাঙ্গীর আলমসহ আরো কয়েকজন বৈঠকে নেতৃত্ব দেন৷ বৈঠকে বাদির অভিযোগ না শুনেই ছলিম উদ্দিনকে ইউপি সদস্য আলেফ মন্ডলের হুকুমে গ্রাম পুলিশ এনামুল হক মারপিট শুরম্ন করেন৷ স্বামীকে বাঁচানোর জন্য স্ত্রী সুলতানা পারভীন ও শিশু পুত্র তোফাজ্জল হোসেন (১১) এগিয়ে গেলে সালিশের মাতবররা তাদের বেদম মারপিট করে৷ এতে গৃহবধূ সুলতানা পারভীন জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন৷ তাকে উদ্ধার করে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নঙ্ েভর্তি করানো হয়৷ চিকিত্সাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার তার গর্ভপাত ঘটে৷ তলপেটে আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় অতিরিক্তি রক্তৰরনে গৃহবধূর গর্ভপাত ঘটেছে বলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নঙ্রে আবাসিক চিকিত্সক ডা.মনোরঞ্জন মন্ডল জানান৷ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী ছলিম উদ্দিন বাদি হয়ে মঙ্গলবার ইউপি সদস্য আলেফ মন্ডল, রফিকুল ইসলাম, আশরাফুল ইসলাম, মতিউর রহমান, জাহাঙ্গীর আলমসহ ৭ জনের বিরম্নদ্ধে নিয়ামতপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন৷ নিয়ামতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শফিউল আলম মামলার কথা স্বীকার করে বলেন, তদনত্ম শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে৷
আপলোড ৪ অক্টোবর ২০১২, কুমিলস্না, প্রতিবেদক: সম্পাদনা আলীরাজ/ আরিফ নিউজরম্নম