রুপসীবাংলা, আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
লিবিয়ার বনি ওয়ালিদে নতুন করে সৃষ্ট উত্তেজনায় হাজার হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরছেন। আন্তর্জাতিক রেডক্রস (আইসিআরসি) স্থানীয় রেড ক্রিসেন্টের সঙ্গে যৌথভাবে এসব মানুষের জন্য ইতোমধ্যে মানবিক সহায়তা দিতে শুরু করেছে।
এর মধ্যে প্রায় ৬০ জন কর্মী, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই বাংলাদেশি ও ভারতীয়, তাদের সরিয়ে তারহুনাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রেডক্রস।
উল্লেখ্য, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে লিবিয়ার বনি ওয়ালিদ শহরে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছেন। গত ২৩ অক্টোবর আন্তর্জাতিক রেডক্রস তাদের ওয়েবসাইটে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, তারা তারহুনাতে একটি অস্থায়ী মানবিক সহায়তা শিবির খুলেছে। মূলত বাংলাদেশ ও ভারত থেকে আসা প্রায় ৬০ জন কর্মীকে ওই শিবিরে নেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে কর্মীরা বনি ওয়ালিদ থেকে শিবিরের উদ্দেশে কমপক্ষে ৩০ কিলোমিটার পথ হেঁটে পাড়ি দিয়েছে বলে জানানো হয়।
রেডক্রস ও লিবিয়ার রেডক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকেরা অরবানে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুহারাদের মধ্যে প্লাস্টিক শিট, তোশক, কম্বল, তৈজসপত্র এবং চিকিৎসা সামগ্রী বিতরণ শুরু করেছে। এছাড়া অরবান, তেসেলা ওয়াদি মানসুর এবং অন্যান্য এলাকায় আশ্রয় নেওয়া লোকজনদের মধ্যে বিতরণের জন্য চাল, তেল, ডাল, লবণ, চিনি, চা এবং টমেটোর পেস্টসহ ১৭ টন খাদ্যসামগ্রী এবং ৭ টন অন্যান্য সামগ্রী এরমধ্যেই ত্রিপোলি থেকে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। মানবিক সহায়তা বিতরণের দায়িত্বে থাকা আসমা খালিক আওয়ান জানান, বাস্তুচ্যুত মানুষেরা মূলত অরবান এবং টেমেসলা ওয়াদি মানসুরের পথ ধরে পালিয়ে যাচ্ছেন। আমরা জেনেছি, অনেক মানুষ বালুকাময় মরুভূমির ভেতর দিয়ে দুর্গম পথ ধরেও আশ্রয়ের খোঁজে পালাচ্ছেন।”
মানুষ বিভিন্ন পথ ধরে যাচ্ছে বলে এ মুহূর্তে বাস্তুচ্যুত মানুষের সঠিক সংখ্যা নিরূপণ করা যায়নি বলে জানান আসমা।
বনি ওয়ালিদে সহিংসতা শুরুর পর গত ১০ ও ১৯ অক্টোবর দুই ধাপে ওই এলাকায় প্রবেশ করে রেডক্রস। তারা গুলিবিদ্ধ প্রায় একশ জনের অস্ত্রোপচারের জন্য চিকিৎসা সহায়তা দিয়েছে। এছাড়া বনি ওয়ালিদ হাসপাতাল ও দাহরা পলিক্লিনিকে অন্যান্য চিকিৎসা সামগ্রীও সরবরাহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক রেডক্রস
আপলোড ২৫ অক্টোবর১২, নিউজরুম