রুপসীবাংলা, সাতক্ষীরা ২৩ অক্টোবর :
সাতক্ষীরা শহরের বড় বাজার থেকে ভোরে শুরু হয়ে বিকাল পর্যন্ত প্রতিদিন বিপুল পরিমান ইলিশ মাছ ভারতে যাচ্ছে। এক শ্রেণীর চোরাকারবারিরা ট্রাক, মিনি ট্রাক, ইন্জিন ভ্যান, গ্রাম বাংলা অটোরিক্স ও মোটর সাইকেল যোগে এই মাছ নিয়ে যাচ্ছে। সীমান্ত এলাকায় জমা হওয়ার পর তা রাতের আধারে ভারতে পাচার করার অভিযোগ উঠেছে। ফলে দেশীয় বাজারে ইলিশ মাছ সংকটের পাশাপাশি উচ্চ মূল্য দেখা দিয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানাগেছে, প্রতিদিন বরিশালসহ আসপাশের জেলা থেকে ৪ থেকে ৫ ট্রাক ইলিশ মাছ সাতক্ষীরা শহরের বাজারে আসছে। বিশেষ করে রাতে এসব মাছ সাতক্ষীরা বড় বাজারে আসার পর ভোর থেকে শুরু করে বিকাল পর্যন্ত তা ভারতের উদ্দেশ্যে ট্রাকসহ অন্যান্য যানবাহন যোগে সাতক্ষীরার ভোমরা, বৈকারি ও হাড়দ্দাহ সীমান্তসহ আসপাশে নিয়ে রাখা হচ্ছে। এরপর সুবিধামত সময়ে পাচার করা হচ্ছে ভারতে। প্রশাসনসহ স্থানীয় বখাটে মাস্তানরা দেখভাল করার নামে ইলিশ মাছ পাচারকারিদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, শহরের ইটাগাছা বাজারের ঠিকানা হোটেলের সামনে থানা ও ফাঁড়ির পুলিশের পক্ষে চোরাকারবারিদের কাছ থেকে উৎকোচ নেওয়ার জন্য অফেক্ষা থাকে সার্বক্ষনিক। সরাসরি প্রশাসনের সাথে এসমস্ত চোরাকারবারিরা আর্থিক সুযোগ সুবিধা প্রদানের মধ্য দিয়ে ইলিশ মাছ ভারতে পাচার করে চলেছে।
বর্তমানে সাতক্ষীরা শহরের বাজার গুলোতে ৫ শ থেকে ৮ শত টাকা কেজি দরে ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে। ক্রয় ক্ষমতা নালালের বাইরে থাকায় সাধারণ ও নিন্মবিত্ত পরিবারের মানুষ ইলিশ মাছের গন্ধও নিতে পারছে না। প্রতিদিন ট্রাক যোগে আসা বিপুল পরিমান ইলিশ মাছ এর ২/৪ বাজরা শহরের বড় বাজারে নামমাত্র নামিয়ে দিয়ে পুরোটাই চলে যাচ্ছে ভারতে। ফলে সাতক্ষীরা শহরের বাজার গুলোতে এখন ইলিশ সংকট দেখা দিয়েছে।
এব্যাপারে সদর থানার ওসি তদন্ত আমিনুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি জানান, থানায় বসে আমাকে শুধু মামলার তদন্ত করাই কাজ। আমি সেটি করে থাকি। অন্যান্য দায়িত্ব পালন করতে আরও পুলিশ অফিসার আছেন তারা করে থাকেন। তবে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরি ইলিশ মাছ চোরাচালানির কথা স্বীকার করে বললেন, মাছ আটক করে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে অকশান করার আগেই পচন ধরে ফলে এটি একটি ঝামেলার বিষয়। তবে পুলিশ অভিযান করে অনেক মাছ আটক করেছে এমনটি দাবী করে তিনি বলেন, ইলিশ মাছ পাচার হচ্ছে এমন নিদৃষ্ট খবর আপনার কাছে থাকলে জানাবেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নিউজরুম