রুপসীবাংআ, ঢাকা ২৩ অক্টোবর :
কোম্পানি আইন সংশোধন করে বেসরকারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যে কোনো সময় প্রশাসক নিয়োগ দেওয়ার নতুন ধারা সংযোজনের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এবিসিসিআই সভাপতি একে আজাদ। মঙ্গলাবার সোনারগাঁও হোটেলে কোম্পানি আইন সংশোধন বিষয়ক এক সেমিনারে তিনি এদ্বিমত পোষণ করেন।
তিনি বলেন, “বর্তমান কোম্পানি আইনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়ার ক্ষমতা কোর্টের হাতে রয়েছে। তাই নতুন করে এ ধারা সংযোজনের কোনো দরকার নেই। তাছাড়া তাড়াহুড়ো করে বাণিজ্য সংগঠন, চেম্বার সংগঠন এবং ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে আলোচনা না করে এটি চূড়ান্ত করা ঠিক হচ্ছে না। অবশ্যই আমাদের মতামত নিতে হবে।”
বাণিজ্য সচিব গোলাম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন অাইনজ্ঞ ব্যারিস্টার রফিক উল হক, সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. এমএ জহির প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বাণিজ্য সচিব গোলাম হোসেন বলেন, “গণমাধ্যমে লেখালেখির আলোকে আলোচনা করলে হবে না। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে আমি সরকারের অবস্থান তুলে ধরে বলতে চাই, প্রশাসক নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে মন্ত্রিসভায় একাধিক প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছিল।
প্রশাসক নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তাবটিকে মন্ত্রিসভা ভালো প্রস্তাব হিসেবে বিবেচনা করেছে। তবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বা অন্য কোনোভাবে যাতে এটার ব্যবহার না হয়, সে বিষয়ে ক্যাবিনেট থেকে বলা হয়েছে। সবার সঙ্গে আলোচনা করেই বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়ার ব্যাপারে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর সঠিক নয়। যেহেতু বিষয়টি নিয়ে তাড়াহুড়ো রয়েছে, এজন্য আগামী ৩০ অক্টোবর জাতীয় ওয়ার্কশপের আয়োজন করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।” ব্যারিস্টার রফিক উল হক বলেন, “নতুন এই আইনের কারণে ব্যবসা যেন বাধার মুখে না পড়ে, সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। ব্যবসায়ীদের পদে পদে বাধা দিলে হবে না।
প্রকৃত ব্যবসায়ীদের সহায়তা দিতেই এ আইন করতে হবে।” সোনারগাঁও হোটেলে একে আজাদের সভাপতিত্বে বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা এ বৈঠকে যোগ দেন।
নিউজরুম