মহাদেবপুরে জমে উঠেছে কুরবানির পশুরহাট অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ

0
223
Print Friendly, PDF & Email

মোফাজ্জল হোসেন, নওগাঁ ২২ অক্টোবর :
নওগাঁর মহাদেবপুরে জমে উঠেছে কুরবানির পশুরহাট। গ্রামে গ্রামে ঘুরে পশু কিনছেন ব্যবসায়ী ও ফড়িয়ারা। তবে চাহিদা বাড়লেও বাড়েনি দাম। তৎপর হয়ে উঠেছে দালালসহ প্রতারকচক্র।
হাট ইজারাদাররা অধিকহারে ছাড় আদায় করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সরজমিনে উপজেলার প্রধান পশু ক্রয়-বিক্রয়কেন্দ্র মহাদেবপুরহাট ও মাতাজিহাট ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নানা জাতের দেশী-বিদেশী লাল, কালো, সাদা রঙের গরম্ন আমদানি হওয়ার কারণে হাটের কোথাও ফাঁকা জায়গা নেই।পশুর দাম বেশি হাঁকালেও সমঝোতায় স্বাভাবিক দামে বেচাকেনা হচ্ছে। এছাড়াও উপজেলার হাটচকগৌরিতে পশুরহাট বসেছে।
বিদেশী গরম্ন-মহিষের তুলনায় দেশী জাতের ছোট ষাঁড়ের চাহিদা ও দাম বেশি। এছাড়াও কুরবানির গরম্ন কেনার জন্য সাধারণ (আহাল) ক্রেতার উপস্থিতিতে সরগরম হয়ে উঠেছে পশুহাট। কুরবানির একটি গরম্ন কিনতে ঘুরছেন ৫ থেকে ১০ জন। এ জন্য জমে উঠেছে পশুহাট। পাশাপাশি বেপরয়া হয়ে উঠেছে স্থানীয় দালাল ও প্রতারকচক্র। অতিরিক্ত টোল আদায় এর অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগে প্রকাশ প্রতি গরম্ন ২শ থেকে ২৫০টাকা হারে টোল নেয়া হচ্ছে।
এছাড়া প্রতি খাসি-ভেড়া ১৫০টাকা থেকে ২০০টাকা পর্যমত্ম টোল আটায় হচ্ছে। অতিরিক্ত টোল আদায়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের কোন অভিযোগই আমলে নিচ্ছেন ইজাদারেরা। মহাদেবপুর হাটের ইজারাদার রফিকুল আলম রফিক জানান, হাটের ইজারামূল্য বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন খরচ দ্বিগুণ হয়েছে। তবে অনিয়ম করে ছাড় আদায় করা হয়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুর রহমান জানান, অতিরিক্ত টোল আদায় করা হলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে দ্রূত আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সম্পাদনা আনোয়ার হোসেন আলীরাজ/ আনোয়ার হোসেন আরিফ, নিউজরুম

শেয়ার করুন