মোফাজ্জল হোসেন, নওগাঁ ২২ অক্টোবর :
নওগাঁয় জেলার আমন ক্ষেতে সর্বত্র খোলপচা রোগ ও কারেন্ট পোকা দেখা দিয়েছে। ধানগাছের গোড়া থেকে থোড় বের হচ্ছে। কৃষকেরা বিভিন্ন প্রকার কীটনাশক ব্যবহার করেও কোন ফল পাচ্ছে না এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন অনেক কৃষক। ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এসময় এ পোকা দেখা দেয় কিমত্ম এবার আগাম শীতের আবহাওয়া বিরাজ করার ফলে পোকার আক্রমন কিছুটা বেশি হচ্ছে বলে মনে করছেন কৃষি বিভাগ। এদিকে কৃষকের এ অবস্থা কে পুজি কওে জেলার বাজারে ভেজাল কীটনাশকের ছড়াছড়ি। এর ফলে কৃষকরা চরম দু:চিমত্মায় পড়েছে। কৃষকরা বলছেন, ধানের চেহারা ভালো ছিল। মৌসুমের শুরম্নতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় জেলার ১১ উপজেলায় ১ লাখ ৭৪ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা ধান লাগানো হয়েছে।
সরজমিনে দেখা গেছে, জেলার ধামইর হাট, মহাদেবপুর, নিয়ামত পুর উপজেলায় বেশি দেখা যাচ্ছে এ রোগ ধামইরহাটের খেলনা ইউনিয়নের শিশু, নদীপুর, মড়লই, বাখরপুর; আগ্রাদ্বিগুন ইউনিয়নের আগ্রা, তালপুকুর, কুমরম্নল, রামচন্দ্রপুর; আলমপুর ইউনিয়নের বসত্মাবর, চৌঘাট, চককালু, বীরগ্রাম; উমার ইউনিয়নের বিহারীনগর, ধানতাড়া, তালঝাড়ী, বেড়াডাঙ্গা; ধামইরহাট ইউনিয়নের পিড়লডাঙ্গা, কালুপাড়া, মইশড়; জাহানপুর, ইউনিয়নের কোকিল, জাহানপুর, নিকেশ্বর, মহাদেবপুর উপজেলার আলীপুর, ঈশ্বরপুর, উত্তরগ্রামসহ,জেলায় ব্যাপকহারে কারেন্ট পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে।
ওইসব এলাকার কৃষকেরা জানান, কীটনাশক স্প্রে করেও কোনো ফল হচ্ছে না। জেলার কৃষক রমজান আলী, পানজুর রহমান, মাসুদ রানা জানান, মাঠে ব্যাপক হারে কারেন্ট পোকা দেখা দিয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের অফিসার এসএম নুরম্নজ্জামান জানান,বর্তমান মৌসুমে ভর্তুকির আওতায় সার ও কীটনাশক প্রদানের জন্য সব ইউনিয়নের সুবিধাভোগীদের মধ্যে সুষ্ঠুভাবে সার-বীজ বিতরণ করা হয়েছে। কৃষিতে আধুনিক পদ্ধতিতে সুষম সার প্রয়োগের জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য সব ইউপি চেয়ারম্যানদের অবহিত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রত্যেক ইউনিয়নে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের সার, কীটনাশক প্রয়োগের বিষয়ে সভা, সিম্পোজিয়াম অব্যাহত রেখেছেন। কারেন্ট পোকা ও খোলপচা রোগের জন্য আমাদের ব¬কের উপ-সহকারীরা পরামর্শ প্রদানের জন্য মাঠেই রয়েছেন বলে জানান তিনি
সম্পাদনা আনোয়ার হোসেন আলীরাজ/ আনোয়ার হোসেন আরিফ, নিউজরুম