রুপসীবাংলা, ঢাকা ২২ অক্টোবর :
বহুল আলোচিত গাড়িচালক আজম খান আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে রয়েছেন। সোমবার দুপুরে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও দুদকের নির্ভরযোগ্য সূত্র এ তথ্য জানায়। সাবেক রেলপথমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের এপিএস ওমর ফারুক তালুকদারের গাড়িচালক আজম খানের নিরাপত্তার স্বার্থেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী রোববার রাতে তাকে নিজেদের জিম্মায় নেয়।
এদিকে দুদক সূত্র জানায়, দু`একদিনের মধ্যে তাকে দুদক কার্যালয়ে নিয়ে আসা হতে পারে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার একজন ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “তিনি নজরদারিতে আছেন। হেফাজতে আছেন।“রোববার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করলেও দুদকের ডাকে সাড়া দেননি আজম খান। তবে রেলে নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের সহকারী পরিচালক রাশেদুর রেজাকে রাত বারটায় দুদক কার্যালয় থেকে বের হতে দেখা গেছে। ২১ অক্টোবর রোববার সকাল দশটায় সেগুনবাগিচাস্থ দুদকের প্রধান কার্যালয়ে জবানবন্দি নেওয়ার জন্য আজম খানকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে গত সাপ্তাহে নোটিশ পাঠানো হয়।
গাড়িচালক আজমকে পাঠানো নোটিসে উল্লেখ করা হয়, “ তদন্ত ১/৬৫-২০১২ অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধান এবং রমনা থানার মামলা নং ৩৩(৩) ১২, কোতোয়ালি সিএমপি চট্টগ্রাম থানায় মামলা নং ৩১.৩২.৩৩.৩৪.৩৫.৩৬ তারিখ ১৩/০৯/১২ এর সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আপনার বক্তব্য নেওয়ার প্রয়োজন মনে করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।“ সম্প্রতি এক বেসরকারি টিভি চ্যানেলে অজ্ঞাত স্থান থেকে সাক্ষাৎকার দেন আজম খান । ওই সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, সেদিন ৯ এপ্রিল রাতে টাকার গাড়ি মন্ত্রী সুরঞ্জিতের বাসায় যাচ্ছিলো। তার এ বক্তব্যে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হলে সুরঞ্জিত আজমের এ বক্তব্যকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন।
তিনি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, “তার বিরুদ্ধে বক্তব্য কেউ প্রমাণ করতে পারবে না।” উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৯ এপ্রিল রাতে পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরের ফটকে সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিতের এপিএস ফারুকের গাড়িতে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাওয়া যায়। পূর্বাঞ্চল রেলের মহাব্যবস্থাপক ইউসুফ আলী মৃধা এবং রেল পুলিশের কমান্ড্যান্ট এনামুল হকও ওই গাড়িতে ছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, গাড়িতে পাওয়া ওই অর্থ রেলের বিভিন্ন পদে নিয়োগের ঘুষের টাকা। ওই টাকার পরিমাণ ছিল ৭০ লাখ। ওই টাকাসহ সে রাতে বিজিবি সদর দপ্তরে গাড়িটি ঢুকিয়ে দেন আজম খান। অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনার পর ইউসুফ আলী মৃধা ও এনামুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। চাকরিচ্যুত হন ওমর ফারুক।
নিউজরুম