রুপসীবাংলা, ঢাকা ২১ অক্টোবর :
পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কোনোভাবেই যাতে জাল টাকার ব্যবহার না হয় সে লক্ষ্যে গাবতলীর পশুর হাটে ৪০টি জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিন সরবরাহ করা হয়েছে। যেকোনো ঈদকে সামনে রেখে রাজধানীতে জাল টাকার ছড়াছড়ি লক্ষ্য করা যায়।
পবিত্র ঈদুল আজহার আর মাত্র ৬ দিন বাকি। রাজধানীর একমাত্র স্থায়ী পশুরহাট গাবতলীতে বেচা-কেনা শুরু হয়ে গেছে। ঈদে গাবতলী পশুরহাটে জাল টাকা সরবরাহ ও এর ব্যবহার বন্ধে ৪০টির বেশি জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিন বসান হয়েছে।
হাসিলের পাশে এই সকল জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিন বসানো হয়েছে বলে জানা গেছে। র্যাব ও পুলিশের দুটি পৃথক কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। কন্ট্রোলরুমগুলোতেও এই মেশিন রাখা হয়েছে।
এছাড়া পাঁচ মন্ত্রণালয়ের প্যাকেজ কর্মসূচি হিসেবে পাঁচজন মন্ত্রী বিভিন্ন সময় গাবতলী হাট পরিদর্শনে আসছেন।
গত ১৯ অক্টোবর যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি, নৌমন্ত্রী শাজাহান খান এমপি, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক এমপি, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি গাবতলী হাট পরিদর্শন করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেশের বাইরে থাকায় প্যাকেজ কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারেননি। ঈদে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা হয়েছে গাবতলীর পশুরহাট। কোরবানিতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গাবতলীতে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কোরবানির গরু কিনতে আসা ক্রেতা-বিক্রেতারা যাতে হয়রানি, ছিনতাই, চুরি বা ডাকাতির শিকার না হয় এজন্যে আইনশৃংখলা বাহিনীর কড়া নজরদারি রয়েছে বলে জানা গেছে।
র্যাব ও পুলিশের পাশাপাশি ৫০০-৫৫০ জন স্বেচ্ছাসেবীর দল কাজ করছে। কেউ চাঁদা দাবি করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য র্যাব ও পুলিশের দুটি কন্ট্রোলরুম কাজ করছে। ২০ তারিখ থেকে পুলিশ কন্ট্রোল রুম এবং ২১ তারিখ থেকে র্যাব কন্ট্রোলরুম বসানো হয়েছে। এসব কন্ট্রোলরুম ২৭ তারিখ পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। শিফট ভাগ করে র্যাব ও পুলিশের ১৭৫ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করবে। নদীপথে যাতে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সমস্যা না হয় সেজন্য নদীপথে একটি স্টিমার ও একটি ট্রলার সার্বক্ষণিক টহল দেবে।
দারুস সালাম থানার পাশাপাশি মোহাম্মদপুর থানা, আদাবর থানা, শাহ-আলী থানা, কাফরুল থানা এবং পল্লবী থানার আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবে বলে জানা গেছে। আমিনবাজার থেকে মাজার রোড পর্যন্ত ২০-২৭ অক্টোবর পর্যন্ত কড়া নজরদারিতে রাখা হবে। এই বিষয়ে দারুস সালাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনজুর হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, “আমরা ২০ থেকে ২৭ অক্টোর পর্যন্ত গাবতলীর সব নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাব।”
তিনি আরো বলেন, “কেউ যাতে জাল টাকা ব্যবহার করতে না পারে সেজন্য ৪০টি মেশিন বসিয়েছি। পাশাপাশি সিসি টিভি থাকবে গাবতলীর হাট নিরাপত্তায়।”
নিউজরুম