রুপসীবাংলা বিনোদন ডেস্ক :
পাতৌদির নবাব পরিবারের ছোট নবাব সাইফ আলী খান ও বলিউড বেবো কারিনা কাপুরের মধ্যে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে গত ১৬ অক্টোবর। বর-বধূর রিসিপশনও ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু দুই ভিন্ন ধর্মের এ জুটির বিয়ের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। সম্প্রতি ভারতের বিখ্যাত ধর্মীয় শিক্ষালয় দারুল উলুম বলেছে, সাইফ-কারিনার বিয়ে ইসলামি শরিয়তের খেলাফ। শরিয়ত মোতাবেক, পাত্র বা পাত্রী খ্রিস্টান বা ইহুদি ছাড়া অন্যধর্মের হলে বিয়ের আগে তাকে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করতে হয়।
কিন্তু হিন্দু ধর্মাবলম্বী কারিনাকে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত না করেই সাইফের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে। তাই এটি ইসলামসম্মত নয় বলে উল্লেখ করেছেন তারা। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম জিনিউজে বলা হয়, ভারতের উত্তর প্রদেশের শরণপুর জেলায় দিওলায় অবস্থিত দারুল-উলুম একটি বিখ্যাত ইসলামিক শিক্ষালয়। এ মাদ্রাসার সিনিয়র আলেম হাবিবুর রহমান বলেছেন, “ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী, কারিনা কাপুরকে যেহেতু ইসলাম ধর্মের দীক্ষা দেওয়া হয়নি, তাই এ বিয়ে ইসলাম অনুমোদন করে না।”তাদের মতে, সাইফ আলী খান মুসলমান আর অন্যদিকে কারিনা কাপুর হিন্দু ধর্মের অনুসারী। তাই তাদের মধ্যে বিয়ে সম্পন্ন করতে হলে সর্বপ্রথম কারিনাকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে হবে, তারপরই তাদের বিয়ে ইসলাম সম্মত হবে।
দারুল-উলুমের এমন বক্তব্যে ভারতের বিভিন্ন এলাকায় দারুণ তোলপাড় শুরু হয়েছে। সবাই বিষয়টি নিয়ে বিচার বিশ্লেষণ শুরু করে দিয়েছেন। অন্যদিকে সামালোচকেরা বলছেন, যেহেতু আদালতে নিবন্ধন করে সাক্ষীর উপস্থিতিতে তাদের বিয়ে হয়েছে, তাই তাদের বিয়ে আইনসম্মত হয়েছে।
তবে দারুল উলুমের এমন বক্তব্যর পর সাইফ আলী খান এবং কারিনা কাপুরের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের মন্তব্য পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, ৪২ বছর বয়সী সাইফ আলী খান পাতৌদির এক সময়ের নবাব এবং সাবেক ভারতীয় ক্রিকেট ক্যাপ্টেন মনসুর আলী খান পাতৌদির সন্তান। তার মা অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর। অন্যদিকে ৩২ বছর বয়সী কারিনা কাপুরের মা ববিতা ও বাবা রনধীর কাপুর।
নিউজরুম