রূপসীবাংলা,রাবি ১৯ অক্টোবর :
দাড়ি রাখার কারণে কয়েক দিন আগে ছাত্রলীগের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফিরোজ আলম নামে এক শিক্ষার্থীকে রুমে আটকিয়ে ছাত্রলীগের কর্মীরা রাতভর নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আহত ওই শিক্ষার্থীকে শুক্রবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করা হলে পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ফিরোজ আলম গণিত ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় মাদার বখশ হলের ৪২০ নম্বর রুমের আবাসিক ছাত্র।
আহত ফিরোজ আলম বলেন, “দাড়ি রাখার কারণে কয়েক দিন আগে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাকে শিবিরকর্মী বলে দাড়ি কাটতে বলে। কিন্তু আমি দাড়ি না কাটলে ছাত্রলীগ কর্মীরা বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে ৩০৮ নম্বর রুমে আমাকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর তারা আমাকে হলের ছাদে নিয়ে যায়। সেখানে ছাত্রলীগ কর্মী জুবায়ের ইবনে তানিম, দেলাওয়ার হোসেন ডিল্স, মণির, শেখ রাসেল এবং ফিরোজের নেতৃত্বে ১৫/২০ জন রড, হকিস্টিক এবং লাঠি-শোঠা দিয়ে বেধরক মারধর করে।”
তিনি আরও জানান, দীর্ঘ তিন ঘণ্টা রুমে আটকিয়ে নিযার্তনের পর ভোর ৬টার দিকে তাকে ছেড়ে দেয়। এসময় রডের আঘাতে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে তাকে হল ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয় তারা। শুক্রবার সকালে আহত অবস্থায় ফিরোজকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থার অবণতি হলে রাজশাহী মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করা হয়।
এদিকে এ ঘটনার পর মাদার বখ্শ হলের মূল ফটকে তালা লাগিয়ে রাত ৩টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত রাতভর হলের বিভিন্ন রুমে তল্লাশি চালিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় শিক্ষার্থীদের রুম খুলতে দেড়ি হলে চড়-থাপ্পর মারারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আহম্মেদ আলীর নির্যাতনের কথা অস্বীকার করে বলেন, “আগামীতে যুদ্ধাপাধীদের বিচার বিঘ্নিত করতে ক্যাম্পাসে অসিস্থিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে শিবির কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হলে অবস্থান করছেন। ছাত্রলীগ এ মৌলবাদী সংগঠনের সব নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে মাদার বখস্ হলের প্রাধক্ষ ড.মো.শেরেজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, “বুধবার রাতে কয়েকজন ছাত্রকে হল থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনা শুনেছি কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে এ ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার কথা শুনা যায়নি। তবে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটছে কিনা এ ব্যাপারে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।
নিউজরুম