বিশ্বব্যাংক মনোনীত তিন সদস্যের বিশেষজ্ঞ প্যানেল পদ্মা সেতু প্রকল্পের দুর্নীতি নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাজে সন্তুষ্ট হতে পারেনি। প্যানেলের সদস্যরা বলেছেন, দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেন, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াসহ অন্তত ২০ জনকে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে।
একই সঙ্গে পদ্মা সেতুর কাজ পেতে যে পাঁচটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কারিগরি মূল্যায়ন কমিটির বিবেচনায় প্রাক-বাছাইয়ে যোগ্য বিবেচিত হয়েছিল এবং সেতুর কাজে পরামর্শক সংস্থা হিসেবে এসএনসি লাভালিনসহ যে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান যোগ্য বিবেচিত হয়েছিল, তাদের পক্ষে বাংলাদেশের সব সাব-এজেন্টের শীর্ষ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশনা দিয়েছে সফরকারী প্যানেল। প্যানেল সেতুর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি নিয়ে দুদকের নিষ্পত্তি হওয়া তদন্তের বিষয়টিও পুনরায় খতিয়ে দেখতে নির্দেশনা দিয়েছে। শুধু তাই নয়, রোববার দুদকের সঙ্গে বিশেষজ্ঞ প্যানেলের বৈঠকে প্যানেলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পদ্মা সেতুর দুর্নীতির পেছনে বড় রকমের ষড়যন্ত্র রয়েছে।
দুদকের কর্মকর্তারা এ ধরনের অভিযোগ সম্পর্কে বলছেন, তারা নিজেরাও ভেবে পাচ্ছেন না, বিশেষজ্ঞ প্যানেল কেন হঠাৎ করে ষড়যন্ত্রের বিষয়টি সামনে নিয়ে এসেছে।
দুদকের আইনজীবী বলেছেন, তারা বিশেষজ্ঞ প্যানেলের চাহিদামতো সব কাগজপত্র তাদের দিয়েছেন; কিন্তু বিশেষজ্ঞ প্যানেল দুদককে কোন ধরনের কাগজপত্র দেয়নি।
এটি নিঃসন্দেহে হতাশার কথা। দুদকের তদন্তকালে সহায়তা করতে পারে, এ ধরনের কাগজপত্র যদি বিশ্বব্যাংকের কাছে থেকেই থাকে, তাহলে তা সরবরাহ করতে বাধা কোথায়?
একটি দেশের কিছু লোক দুর্নীতি করতেই পারে। এ কারণে সমগ্র দেশবাসীকে তো আর দুর্নীতিগ্রস্ত বলা যাবে না। সব কথার শেষ কথা, পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন আমাদের জন্য জরুরি। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই কাজ করতে হবে।