রুপসীবাংলা, ঢাকা ১৮ অক্টোবর :
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, বকুল মিয়া ও রফিকুল ইসলামকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার রিমান্ড শেষ হওয়ার একদিন আগেই আসামিদের আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাবের ইনভেস্টিগেশন ও ফরেনসিক উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. জাফর উল্লাহ।
রিমান্ড প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘আসামিদেরকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে অনেক গোপন ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। যা তদন্তের খাতিরে এখনই প্রকাশ করা যাচ্ছে না। আসামিদের ফের রিমান্ডে নেওয়া হতে পারে।’ এর আগে বুধবার তানভীর আহমেদ ও পলাশ রুদ্র পালকে ৮ দিন রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গত ১৪ অক্টোবর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কেশব রায় চৌধুরী আসামি মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, বকুল মিয়া ও রফিকুল ইসলামসহ ৫ আসামির ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন।
ওই দিনই মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, বকুল মিয়া ও রফিকুল ইসলামকে রিমান্ডে নিয়ে যাওয়া হলেও নিহত ডাক্তার নিতাইয়ের গাড়িচালক কামরুল হাসান অরুণ ও আবু সাঈদকে রিমান্ডে নেওয়া হয়নি। আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার জিআরও হুমায়ূন আহমেদ জানান, গাড়িচালক কামরুল হাসান অরুণ ও আবু সাঈদকে ওই দিন জেল হাজতে পাঠানো হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রয়োজনে জেলহাজত থেকে তাদের রিমান্ডে নিতে পারবেন।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি নিজ ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন। ভোরে তাদের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৯ অক্টোবর প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দিন খান আলমগীর সাগর-রুনি হত্যার প্রধানতম সন্দেহভাজন হুমায়ূন ওরফে এনামুলকে ধরতে ১০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেন। হুমায়ূন সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির বাড়ির সিকিউরিটি গার্ড।
নিউজরুম