রুপসীবাংলা স্পোর্টস ডেস্ক ঢাকা :
গ্রামীণফোন ফেডারেশন কাপের প্রথম সেমিফাইনালে শুক্রবার শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের মুখোমুখি হবে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের। যদিও শক্তির বিচারে এগিয়ে রাসেল, কিন্তু ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে ছাড় দেবে না মোহামেডানও।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মোহামেডান ও শেখ রাসেলের ম্যাচটি হবে বিকেল ৫টায়। খেলাটি সরাসরি সম্প্রচার করবে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ।
নতুন মৌসুমে স্থানীয় ও বিদেশিদের নিয়ে কাগজে-কলমে সেরা দল গড়েছে শেখ রাসেল। জাতীয় দলের ৯ খেলোয়াড় নিয়ে গড়া দলটি টুর্নামেন্টে এরই মধ্যে নিজেদের শক্তির জানান দিয়েছে। গ্রুপ পর্বে তারা ৫-০ গোলে পুলিশকে এবং ৬-০ ব্যবধানে ফেনী রামপুর বয়েজ ক্লাবকে হারিয়ে ‘এ’ গ্রুপ সেরার লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয় মোহামেডানের বিপক্ষে। যেখানে তারা ২-০ গোলে হারায় সাদা-কালোদের। তবে কোয়ার্টার ফাইনালে শেখ রাসেলের জয় মসৃণ ছিলো না। ফেনী সকারের বিপক্ষে তারা জয়সূচক গোলটি পেয়েছে ম্যাচের ১১২ মিনিটে।
টুর্নামেন্ট জুড়ে বিদেশিদের পাশাপাশি শেখ রাসেলের স্থানীয়দের পারফরমেন্স সবার দৃষ্টি কেড়েছে। চার ম্যাচে এমিলি পাঁচটি, জাহিদ দুটি, আনোয়ার একটি এবং লিঙ্কন করেছেন দুটি গোল। অপরদিকে দুই বিদেশি হাইতিয়ান সনি নোরদে তিনটি ও মরক্কোর আবু কাসেম একটি গোল পেয়েছেন। কোন গোল হজম না করে টুর্নামেন্টের চার ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ১৪বার বল পাঠিয়েছে শেখ রাসেল। অপরদিকে ‘এ’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে শেখ রাসেলের কাছে হেরে গ্রুপ রানার্স আপ হিসেবে শেষ আটে উঠে মোহামেডান। গ্রুপের অপর দুটি ম্যাচে তারা ৪-০ গোলে রামপুর বয়েজ ক্লাবকে এবং ৩-০ গোলে পুলিশ দলকে হারায়। কোয়ার্টার ফাইনালে বিজেএমসির বিপক্ষে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে গোলরক্ষক মামুন খানের কৃতিত্বে টাইব্রেকারে ৩-০ গোলের জয় নিয়ে সেমিফাইনালে নিশ্চিত করে তারা। টুর্নামেন্টে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত মোট ৯টি গোল দিয়েছে তারা। এরমধ্যে একাই পাঁচ গোল করেন নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড ওয়াসিও ওলালেকান। বিপরীতে মোহামেডান গোল খেয়েছে ৪টি।
তবে সেমিফাইনালকে সামনে রেখে উভয় দলই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে। কোয়ার্টার ফাইনালের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিতে চায় তারা। শিষ্যদের ভুলের পুনরাবৃত্তি না করার জন্য সতর্ক করেছেন মোহামেডান কোচ সাইফুল বারী টিটু ও শেখ রাসেল কোচ মারুফুল হক।
মোহামেডান কোচের দুশ্চিন্তা দুর্বল রক্ষণভাগকে নিয়ে। শক্তির বিচারে শেখ রাসেলকে এগিয়ে রেখে কোচ টিটু বলেন, ‘আমি চাইনা আমাদের সকল পরিশ্রম রক্ষণভাগের ভুলের কারণে ব্যর্থ হয়ে যাক। বিজেএমসির সঙ্গে গত ম্যাচে আমাদের অ্যাটাকিং ভালো হয়েছিলো। কিন্তু দুই গোল দিয়েও ধরে রাখতে না পারাটা ভালো লক্ষ্মণ নয়। তাই ডিফেন্ডিংয়ের ওপর বিশেষভাবে জোর দিয়েছি আমি। শক্তির বিচারে সবমিলিয়ে শেখ রাসেল এগিয়ে থাকলেও নতুন দুই বিদেশি ইব্রাহিম ও মরিসনের অন্তর্ভুক্তিতে মোহামেডান প্রতিপক্ষের সঙ্গে সমানতালে লড়াইয়ের সামর্থ্য রাখে। আমাদের তরুণ দল খুব উজ্জীবিত ফুটবল খেলছে, এটাই আমার প্লাসপয়েন্ট।’
এদিকে রক্ষণভাগ নিয়ে চিন্তিত শেখ রাসেল কোচ মারুফুল হকও। বলেন, ‘কোয়ার্টার ফাইনালে স্ট্রাইকাররা কয়েকটি সুযোগ নষ্ট করার পর মাথা গরম করে খেলেন। এসময় তাদের দুশ্চিন্তাগ্রস্তও দেখা যায়। আমি চাইনা এভাবে তারা মাথা গরম করে খেলুক। মোহামেডান ভালো প্রতিপক্ষ, তাদের হারাতে স্ট্রাইকারদের মাথা ঠান্ডা রেখেই গোল আদায় করতে হবে। তবে দলের ভালো দিক হলো সবাই গোল পাচ্ছে। আমার মিডফিল্ড খুব ভালো, পাসিং ফুটবল খেলাটাও ভালো হচ্ছে।’
নিউজরুম