ঢাকা-পঞ্চগড়-যানবাহন চলাচল বন্ধ

0
351
Print Friendly, PDF & Email

রূপসীবাংলা পঞ্চগড় ১৭অক্টোবর :
পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কে অবরোধের কারণে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। বুধবার সন্ধা সাতটার দিকে নাবিল পরিবহনের দু’টি গাড়ি শহরের করতোয়া পেট্রোল পাম্পের সামনে মহাসড়কে রেখে ব্যারিকেড দিলে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সাড়ে সাতটা) যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ কারণে রাস্তার উভয় পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়েছে। ফলে যাত্রী সাধারণ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছাত্রলীগের ২০/৩০ জন নেতাকর্মী লাঠিসোটা দিয়ে নাবিল পরিবহনের দু’টি গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এতে গাড়ি দু’টির জানালার ব্যাপক ক্ষতি হয়।
নাবিল পরিবহনের দাবি, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সন্ধা সাতটার দিকে পেট্রোল পাম্পে থাকা দু’টি গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এ ঘটনার প্রতিবাদে নাবিল পরিবহনের চালক পাম্পের সামনে মহাসড়কে গাড়ি রেখে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়।
এদিকে ছাত্রলীগ এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, তাদের কোনো নেতাকর্মী এ কাজ করেনি। পঞ্চগড়ের নাবিল পরিবহনের ব্যবস্থাপক আবু বক্কর ছিদ্দিক বলেন, “তিন দিন আগে ঢাকা থেকে আসার পথে সৈয়দপুরে যাত্রীর সঙ্গে গাড়ির জানালা খোলা ও বন্ধ করাকে কেন্দ্র করে পঞ্চগড় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লাঞ্ছিত হয়। এতে পরিবহনের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। এ ঘটনার পরে তারা পঞ্চগড়ের কাউন্টার বন্ধ করে দিয়েছে।
সুপারভাইজারকে মারপিট করেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা গাড়িতে হামলা চালায়। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে বাধ্য হয়ে মহাসড়কে গাড়ি রেখে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, তিনি অসুস্থ হয়ে তিনদিন ধরে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনায় কে বা কারা জড়িত তিনি বলতে পারেন না। তবে ছাত্রলীগের কেউ জড়িত নয় বলে তিনি দাবি করেন। এ ঘটনায় পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হুমায়ূন কবীর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, যানবাহন চলাচলের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

নিউজরুম

শেয়ার করুন