রূপসীবাংলা ময়মনসিংহ ১৭অক্টোবর :
প্রধানমন্ত্রীকে দেশ ত্যাগের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে গৌরীপুরে বিএনপির ৫শ’ নেতাকর্মীর নামে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে।
এ জিডিতে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে নাম রয়েছে ময়মনসিংহের গৌরীপুরে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক আলী আহাম্মদ খান পাঠান সেলভীরও। স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিধূভূষণ দাস মঙ্গলবার রাতে এ জিডি করলেও বুধবার ঘটনাটি প্রকাশ পায়। মঙ্গলবার রাতে এ নিয়ে গুঞ্জণ শোনা গেলেও গৌরীপুর থানা পুলিশ এ বিষয়টি এড়িয়ে যায়।
বুধবার বিকেল নাগাদ ঘটনাটি প্রকাশ পেলে গৌরীপুরে দারুণ আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে সেলভি সমর্থক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যেও।
গৌরীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিধূভূষণ দাস জিডিতে উল্লেখ করেন, গৌরীপুর পৌর শহরে উপজেলা বিএনপি এবং তার অঙ্গসংগঠনের কিছু উশৃঙ্খল নেতাকর্মী সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ‘চশমা পরা বুবুজান, নৌকা নিয়ে ভারত যান’ সহ বিভিন্ন ধরনের আপত্তিকর কথাবার্তাসহ প্রধানমন্ত্রীকে দেশত্যাগের হুমকি দেন। উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আহাম্মদ তায়েবুর রহমান হিরণ, বোকাইনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুল ইসলাম খান শহীদের নেতৃত্বে ৫ শতাধিক নেতাকর্মী আপত্তিকর সরকার বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে জনমনে ভীতির সঞ্চার করে।
জিডিতে তিনি আরও উল্লেখ করেন, বিএনপির মিছিল শুরু করার আগে গৌরীপুর কালীখলার বিএনপি অফিসে উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলী আহাম্মদ খান পাঠান সেলভী উপস্থিত ছিলেন। গোপন বৈঠকের পর আপত্তিকর স্লোগানে মিছিলটি শহর প্রদক্ষিণ করে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, বিএনপির সঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যানের যোগসাজসে সরকার বিরোধী আন্দোলন তীব্র করাসহ উপজেলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে, বিধায় এ সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আহাম্মদ খান পাঠান সেলভী বাংলানিউজকে জানান, ওইদিন বিএনপির দু’গ্রুপের মধ্যে টানটান উত্তেজনা ছিলো। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় ওইদিন বিএনপি’র বিবাদমান দু’ক্ষকে শান্ত করতে বিএনপি অফিসে গিয়েছিলাম।এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিধূভূষণ দাস বাংলানিউজকে জানান, এটা সামাজিক দেন-দরবার না, বিএনপির দলীয় সমস্যায় আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান হিসাবে তিনি যেতে পারেন না। তারা গোপনে বৈঠক করেছেন বলে জানা গেছে। তিনি জানান, আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান হয়ে বিএনপির রাজনীতির কোন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়ানোর যৌক্তিক কোনো কারণ নেই। যুদ্ধপরাধীদের বাঁচানোর জন্য ১৮ দলীয় ঐক্যজোট এবং বিএনপির সঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যানের যোগসূত্র আছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হামিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না।
নিউজরুম