রুপসীবাংলা রংপুর ১৭ অক্টোবর :
নিম্ন দর দিয়েও কাজ না পাওয়ায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) সেচ বিভাগের রংপুর অফিসে ৪ ঘণ্টা তালা ঝুলিয়ে রাখেন ক্ষুদ্ধ ঠিকাদাররা। বুধবার সকাল ১১টায় অফিস থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বের করে দিয়ে তাতে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ক্ষুদ্ধ ঠিকাদাররা জানান, চলতি বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর বক্স কালভার্ট, বারিকপাইপ, সেচ নালা, ক্যাটেল ক্রসিং, ডিসচার্জ বক্স, ফুটওভার ব্রিজসহ প্রায় ৩ কোটি টাকার ৩৫টি প্যাকেজে দরপত্র আহ্বান করে বিএডিসির সেচ বিভাগ কর্তৃপক্ষ। এরপর ঠিকাদাররা নিয়ম অনুযায়ী দরপত্র দাখিল করেন। কিন্তু বিএডিসির প্রকল্প পরিচালক (পিডি) ফজল আহমেদ এবং নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম জাহাঙ্গীর আলম সরকারসহ অন্য কর্মকর্তারা নিম্ন দরদাতাদের কাজ না দিয়ে তাদের পচ্ছন্দ মতো ৩৫ জন ঠিকাদারের নামসহ প্যাকেজের ৩৫টি কাজ মঙ্গলবার বিকেলে নোটিশ বোর্ডে টাঙ্গিয়ে দেন।বিষয়টি বুধবার সকালে জানাজানি হয়ে গেলে বঞ্চিত ঠিকাদাররা বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে তারা দলবদ্ধ হয়ে অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বের করে দিয়ে অফিসের প্রধান গেটে তালা লাগিয়ে দেন। এছাড়া এসময় তারা অফিসের সামনে বিক্ষোভ করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঠিকাদার ওয়াহেদ আলী মোক্তা, মামুন ও রোলেক্স জানান, যে ৩৫ জন কাজ পেয়েছেন তাদের সবাই উচ্চদরে দরপত্র জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রকল্প পরিচালক ও নির্বাহী প্রকৌশলী আর্থিকভাবে লাভবান হয়ে নিম্ন দরদাতাদের কাজ না দিয়ে তাদের পচ্ছন্দের ৩৫ জন ঠিকাদারকে কাজ দিয়েছেন। যার মধ্যে ১৯ জন ঠিকাদারই বাইরের এবং প্রকল্প পরিচালক ও নির্বাহী প্রকৌশলীর অতি কাছের মানুষ। তারা আরও অভিযোগ করেন, বিএডিসির এই ২ কর্তা দরপত্র ছাড়াই অফিসের রাস্তা, ভবন মেরামত করে নিজেরা কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।বিএডিসি সেচ বিভাগের হিসাব রক্ষক মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। যারা কাজ পেয়েছেন তাদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। যারা কাজ পাননি তারা ক্ষুদ্ধ হয়ে অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেন।
এ ব্যাপারে বিএডিসির সেচ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ফজল আহমেদ জানান, টেন্ডার কমিটি দরপত্র যাচাই বাছাই করার পর যাদের তালিকা দিয়েছে তাদের সিকিউরিটির টাকা জমা দিতে বলা হয়েছে, কাজ দেওয়া হয়নি। প্রয়োজন হলে এ তালিকা বাতিলও করা হতে পারে।
নিউজরুম