রূপসীবাংলা, নওগাঁ ১৬ অক্টোবর :
নওগাঁর মহাদেবপুর থানা বিএনপি’, যুবদল, ছাত্রদল, মহিলাদল, শ্রমিকদল, মৎস্যজীবী দল ও জাসাসের যৌথ উদ্যোগে শনিবার বিকেলে মহাদেবপুর উপজেলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আব্দুস ছাত্তার নাননু। তিনি বলেন, গত ৭ অক্টোবর মহাদেবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াছাত হায়দার টগরের নেতৃত্বে তার বাস ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় সংসদের নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর-বদলগাছি) আসনে চার বার নির্বাচিত এমপি’ সাবেক ডেপুটি স্পীকার আলহাজ্ব আকতার হামিদ সিদ্দিকীকে মহাদেবপুরে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে যে বক্তব্য দেয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণ বানোয়াট, মিথ্যা, যোগসাজসী ও ভিত্তিহীন।
বিএনপি’র ত্যাগী নেতাকর্মীদের ব্যানারে ঐ সম্মেলনের আয়োজন করা হলেও প্রকৃতপক্ষে মহাদেবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াছাত হায়দার টগর বিএনপি’র সৃষ্টি লগ্ন থেকে আজ পর্যমত্ম কোন ওয়ার্ড কমিটি অথবা গ্রাম কমিটির সদস্য পর্যন্ত নয়। বরং তিনি নীতিভ্রষ্টতার পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সময় আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টি সহ নানান দলের লেবাস পড়ে সুবিধা আদায় করছেন। তবে গত উপজেলা নির্বাচনের সময় বিএনপি’র প্রার্থী না থাকায় তাকে মৌখিকভাবে সমর্থন দেয়া হয়েছিল মাত্র। তাদের দাবী আকতার হামিদ সিদ্দিকী এলাকার কোন যুবককে চাকরি দেয়ার নামে বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্তির জন্য, বা বির্ল্ডিং নির্মাণের জন্য অনিয়ম বা দূর্নীতি করে টাকা গ্রহণ করেননি। তিনি শত শত কোটি টাকার মালিকও নন। মহাদেবপুর সোনালী ব্যাংক ভবন তৈরীর সময় ঐ ব্যাংক থেকেই ঋণ নিয়ে তার পৈত্রিক সম্পত্তিতে বাসভবন ও দ্বিতীয় তলা মার্কেট নির্মাণ করা হয়েছে। তিনি সম্ভ্রান্ত ও ধনী রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। ঢাকার অদূরে মানিকগঞ্জের সিংগাইরে যে ৭৫ একর জমির উপর খামারবাড়ী প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে তা বানোয়াট। সেখানে তার ১০ একর জমি ৩২ বছর পূর্বে থেকে কেনা শুরম্ন হয়েছে-যা সরকারের ইনকাম ট্যাক্সে উলে¬খ রয়েছে। জাতীয় সংসদ থেকে তারেক রহমানের নামে ভূয়া ভাইচার দেখিয়ে তেল উত্তোলনের বিষয়টি পত্র পত্রিকায় এর আগে এসেছিল-যা ব্যাপক পরীক্ষা নীরক্ষা করে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। এব্যাপারে জাতীয় সংসদ থেকে কোন মামলা হয়নি। সেখানকার সম্মেলনে উপস্থিত রবিউল ইসলাম বুলেট দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে প্রায় ২০ বছর পূর্বে দল থেকে বহিস্কার হয়। অদ্যাবধি সে বিএনপি ও কোন সহযোগী সংগঠনের সদস্য নয়। সুলতান মামুনুর রশিদ মামুন বাস্তবে বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এলডিপি সংসদ সদস্য প্রার্থী ছিলেন। সেখানে উপস্থিত অন্যান্যরাও বিএনপি’ ও সহযোগি সংগঠনের কোন সদস্য নয়। উপজেলা চেয়ারম্যান টগর লোভের বসবর্তী হয়ে ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে এবং সাবেক ডেপুটি স্পীকারকে হেয় প্রতিপন্ন করতে ও বিএনপি’ নেতাকর্মীদের বিভ্রান্ত করে দল ভাঙ্গার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন। বিএনপি’র একাংশ তো দূরের কথা, তিনি হাতে গোনা ২০/২৫ জন ভাড়াটিয়া লোক নিয়ে তার বাসভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। এরম্নপ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত থাকার জন্য সংবাদ সম্মেলনে আহবান জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে থানা বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আফতাব উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন, থানা যুবদলের সভাপতি মোজাফ্ফর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল হক মন্টু, থানা ছাত্রদলের আহবায়ক এ,কে,এম,মাসুদুর রহমান টিক্কা, যুগ্ম আহবায়ক হাফিজুর রহমান, শামীম, সাইদুর রহমান, ইমরান, থানা মহিলা দলের নেত্রী মর্জিনা পারভীন, রওশন জাহান, শেফালী বেগম, ফেরদৌসী বেগম, থানা শ্রমিক দলের আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম, থানা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি আবুল কালাম, থানা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক কিউ,এম,সাঈদ টিটো প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
নিউজ, মোফাজ্জল হোসেন. সম্পাদনা : আলীরাজ/ আরিফ/ সালমা, নিউজরুম