রূপসীবাংলা, গোপালগঞ্জ ১৪ অক্টোবর :
গোপালগঞ্জে বিয়ের দাওয়াতকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সংঘর্ষে পুলিশসহ কমপক্ষে ১৫জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ ঠেকাতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস, ফাঁকা গুলি বর্ষন ও লাঠিচার্জ করে। উপজেলার কাঠিবাজারে শনিবার এঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৬জনকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে খানারপাড় গ্রামের লুৎফর মোল্যার মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান হয়। ওই অনুষ্ঠানের মেয়ের ভাই সাদ্দাম মোল্যা তার বন্ধু কাঠি গ্রামের পলাশ শেখকে দাওয়াত করে। পলাশকে দাওয়াত করায় সাদ্দাম মোল্যার সাথে তার বেয়াই কাঠি গ্রামের নিজাম মোল্যার সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এর এক পর্যায়ে দাওয়াতে আসায় পলাশের সাথে নিজাম মোল্যা কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনার জের ধরে শনিবার সন্ধ্যায় কাঠিবাজারে খানারপাড় ও তেলিগাতি গ্রাম এবং কাঠিগ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। আড়াই ঘন্টা ধরে চলা এ সংঘর্ষে উভয় পরে কর্মপক্ষে ১৫ জন আহত হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রন করতে না পেরে কাঁদানে গ্যাস ও ফাঁকা গুলি বর্ষন করে। পরে লাঠি চার্জ করে উভয় পকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। রাত ১০টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এসময় ইটের আঘাতে পুলিশের কনষ্টবল নজরুল, শহীদ, মহিউদ্দিনসহ ৫ পুলিশ আহত হন।
আহতদের মধ্যে টিটাবিদ্ধ পলাশ শেখকে (২০) আশংকজনক অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ও সাইদ সিকদার (৪২), ইউসুফ শেখ (১৮), মোঃ জুয়েল মিনা (১৪) গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে, ২জনকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতাল, কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং বাকী আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় আজ শনিবার সকালে ৬জনকে আটক করে পুলিশ।
গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: জাকির হোসেন মোল্যা জানান, ওইসব এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে। এছাড়া পুলিশ সংঘর্ষে অংশ নেয়া কাঠি, তেলিগাতি ও খানারপাড়া গ্রামে দাঙ্গাবাজদের আটক করতে অভিযান অব্যহত রয়েছে।
নিউজরৃম