রূপসীবাংলা কৃষি ডেস্ক :
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার বারাদী সীমান্তের বিপরীতে মাথাভাঙ্গা নদীর ওপারে ২১০ বিঘা জমি বাংলাদেশিদের চাষাবাদের জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
জমিগুলোতে স্বাধীনতার পর থেকে বিএসএফ,র সহযোগিতায় ভারতীয়রা চাষাবাদ করে আসছিলো। তবে বিজিবি’র উদ্যোগ ও বিএসএফ’র সহায়তায় জমিগুলো সম্প্রতি অবমুক্ত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, পর্যায়ক্রমে পাশ্ববর্তী সুলতানপুর ও কামারপাড়া সীমান্তের আরো ৬শ বিঘা জমি অবমুক্ত করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউপি চেয়ারম্যান এসএএম জাকারিয়া আলম জানান, ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের বারাদী, কামারপাড়া ও সুলতানপুর সীমান্তে মাথাভাঙ্গা নদীর ওপারে বাংলাদেশের জমিগুলো স্বাধীনতার আগে থেকে দখলের বাইরে ছিলো। আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন অনুযায়ী কয়েকশ বিঘা জমি বাংলাদেশের ভূখ- হিসেবে চিহ্নিত হলেও এর আগে কেউ উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। বিজিবির ঠাকুরপুর কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মনিরুল ইসলাম জানান, মাথাভাঙ্গা নদী তীরের বাংলাদেশিদের জমি থাকলেও যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে না ওঠায় দীর্ঘদিন তা পরিত্যক্ত ছিলো।
সীমান্তের টি পিলারের বাইরে জমি রয়েছে জানার পর ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লে. কর্নেল সুলতান আহমেদ পিএসসি’র উদ্যোগে জমিগুলো পর্যায়ক্রমে অবমুক্ত করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে বিএসএফ’র প থেকেও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পাওয়া গেছে। বিশেষ করে ওইসব জমিতে এতোদিন ভারতীয়রা বিভিন্ন ফসল আবাদ করলেও বিএসএফ’র নিষেধাজ্ঞার পর থেকে জমিগুলো ছেড়ে দিয়েছে। বিজিবি বলছে, দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয়দের দখলে থাকা জমি উদ্ধারে বিজিবির পক্ষ থেকে উদ্যোগ গ্রহন করা হয়। সে মতে বিজিবি বিএসএফ বেশ কয়েকবার পতাকা বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ বুধবার ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বিজিবি বিএসএফ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ওই বৈঠকে বিএসএফ,র পক্ষ থেকে বাংলাদেশীদের জমি ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ভোলা নাথ দে এ প্রসঙ্গে জানান, বিষয়টি বিজিবি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদেরকে অবহিত করেনি। তবে সম্মিলিত উদ্যোগে জমিগুলো ওই গ্রামগুলোর প্রকৃত ভূমিহীনদের মাঝে বরাদ্দ দেয়া যেতে পারে।
নিউজরুম ১৪অক্টোবর, ২০১২