রূপসীবাংলা ঝিনাইদহ, ১০ অক্টোবর :
কোট চাঁদপুর উপজেলায় বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশ-শিবির সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় জামায়াত-শিবিরের ১০ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
হয়রানী ও পুলিশী আতংকে রয়েছেন জামায়াত ও শিবিরের নেতারা। পুলিশ জানায় বুধবার মধ্যরাত ও বৃহস্পতিবার ভোরে কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালিয়ে জামায়াত শিবিরে এসব নেতা কর্মীকে আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, রমজান আলী, গোলাম মোসত্মফা, আজিজুর রহমান, জাহাঙ্গীর হোসেন, মওদুদ আহম্মেদ, আব্দুল গফুর, শহিদুল ইসলাম, আব্দুল আজিজ, সাইদুর রহমান ও মাসুম। কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, বুধবার বিকালে পুলিশের উপর হামলা ও সরকারী কাজে বাধা দানের ঘটনায় পৃথক দুইটি মামলা হয়েছে। তিনি আরো জানান, কোটচাঁদপুর থানার উপ-পরিদর্শক ফারুক হোসন ও উপ-পরিদর্শক মহসিন আলী বাদী হয়ে বুধবার রাতে দুইটি মামলা দায়ের করেন।
দুইটি মামলায় জামায়াত শিবিরের ৭৬ জন নেতা কর্মীর নাম উলেলখ করে এবং অজ্ঞাত নামা আরো ১৪০ জন আসামী হয়েছেন বলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান। উলেলখ্য বুধবার সকালে কোটচাঁদপুর শহরে পেষ্টার মারার সময় শিবিরের ৬ কর্মী আটক হলে গ্রেফতারের প্রতিবাদে বুধবার বিকালে কোটচাঁদপুর শহরে জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের হাসপাতাল এলাকায় পৌছালে পুলিশ মিছিলে হামলা চালালে সংঘর্ষের সুত্রপাত ঘটে।
সংঘর্ষে পুলিশ ৩ কর্মকর্তাসহ শিবিরের ২১ জন কম বেশি আহত হন। এদিকে জামায়াত ও শিবিরের শামিত্মপুর্ণ মিছিলে হামলা চালিয়ে উলস্নখ্য নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানী করার প্রতিবাদ জানিয়েছেন জামায়াতের জেলা আমির ড. মোজাম্মিল হক। তিনি কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর উপজেলায় আসামী গ্রেফতারের নামে পুলিশ হয়রানী বন্ধের দাবী জানিয়েছেন।
নিউজ প্রতিবেদক, সম্পাদনা আলীরাজ/ আরিফ